ঢাকা: রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলাভবনের সামনে মারধরে অসুস্থ হয়ে বসন্ত কুমার দাস (৫০) এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি বন বিভাগের অফিস সহকারী ছিলেন।
রোববার (১৩ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত ব্যক্তির ছোট ভাই অভিযোগ করে বলেন, তাদের এক আত্মীয়র সঙ্গে বসন্ত কুমারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত রাত সাড়ে ১০টার দিকে কলাভবনের সামনে সেই মেয়ে তার ভাইকে ডেকে নিয়ে যায়। এমন সময় সেই মেয়ের স্বামী শান্তি মণ্ডল সেখানে উপস্থিত হয়। শান্তি মণ্ডল তার বড় ভাই বসন্তকে মারধর করে। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে থানা পুলিশ আসলে পারিবারিক বিষয় বলে সমঝোতা করে দেয়। পরে বসন্ত কুমারের স্ত্রী তাকে শাজাহানপুরের গুলবাগ এলাকার বাসায় নিয়ে যায়।
হেমন্ত দাস আরও বলেন, রাত ১টার দিকে হঠাৎ তার বড় ভাই বসন্ত কুমার দাস অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন দ্রুত তাকে খিদমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে সকালে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে মারা যায়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী ইনচার্জ (এএসআই) মো. মাসুদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। তবে তার পরিবার অভিযোগ করেছে মারধরের কারণে সে অসুস্থ হয়ে মারা গেছে।
শাহাবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খন্দোকার সেলিম শাহরিয়ার জীবন স্ট্যালিন বলেন, মারধরে এক ব্যক্তি মারা গেছে এমন একটা অভিযোগ আমরা পেয়েছি। গতকাল রাতে ঢাবির কলাভবনে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি বিস্তারিত জানতে কাজ করছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২৩
এজেডএস/জেএইচ