ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘সরকারের দপ্তরগুলোর মতবিরোধ ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষতি করে’ 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২৩
‘সরকারের দপ্তরগুলোর মতবিরোধ ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষতি করে’  পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ  মান্নান: ফাইল ফটো

ঢাকা: পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ  মান্নান বলেছেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত এনবিআর, শিল্প মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও  রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে যারা আছেন তাদের তাদের মধ্যে মাঝে মাঝে মতবিরোধ (ক্ল্যাস) তৈরি হয়। এতে ক্ষতি হয় উদ্যোক্তাদের, ক্ষতি হয় শিল্পের।

এতে উৎপাদন ব্যাহত হয়।  

তিনি আরও বলেন, শিল্প ব্যবসা-বাণিজ্যর সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্টদের মধ্যে এ মতবিরোধ দূর করতে আমরা উদ্যোগ নেবো।

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশে আমদানি বিকল্প শিল্প: প্রেক্ষিত হালকা প্রকৌশল’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমদানি বিকল্প শিল্পের প্রতিস্থাপনে যেসব খাতের সম্ভাবনা আছে সেগুলোকে উৎসাহ দেওয়া হবে।  আমরা সেগুলো দেবো। তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, এবং  মালয়েশিয়া কৃষি থেকে টেক্সটাইল, টেক্সটাইল থেকে ক্ষুদ্র শিল্প এবং ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ শিল্পে গেছে। এটিই শিল্পের ধারা। আমাদের শিল্প সেভাবেই এগোচ্ছে। কিন্তু এগুলোর পথে আমাদের কিছু সমস্যা রয়েছে। এসব সমস্যা সমাধানে আমরা কাজ করছি।  

আগামী নির্বাচনে ব্যবসায়ীদের কাছে বর্তমান সরকারের জন্য সমর্থন চাইলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী। তিনি বলেন, আপনারা ব্যবসা করেন, আমিও ব্যবসা করি। আমার ব্যবসা ভোটের ব্যবসা, রাজনীতির ব্যবসা। ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য স্থিতিশীলতার দরকার। দেশকে রক্ষার জন্য, উচ্চপর্যায়ে যাওয়ার জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার। রাজনীতিতে যদি স্মৃতিশীলতা না থাকে,  একে অন্যের পায়ে পা দিয়ে যদি ক্ষতি করে আমরা ব্যর্থ হবো।

আমরা প্রথমবারের মতো একটি সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছি। তাহলো তারুণ্যদীপ্ত জনশক্তিকে কাজে লাগাতে আমরা পেয়েছি  উচিত, সাহসী এবং সৃষ্টিশীল নেতৃত্ব। এটিকে কাজে লাগিয়ে যদি ভালো কিছু পেতে পারি, স্থিতিশীল পরিবর্তন আনতে পারি তাহলে সমাজে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে। যা সমাজে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীল পরিবর্তন আনবে।

ডিসিসিআই এর সভাপতি ব্যারিস্টার শামীর সাত্তার বলেন, কোভিড মহামারির আগে আমরা গড়ে ৬ শতাংশ এরও অধিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছিলাম এবং মহামারির পরে ২০২৩ অর্থ বছরে ৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে উচ্চতর প্রবৃদ্ধিতে ফিরতে সক্ষম হয়েছি। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছি। বেসরকারিখাত এক্ষেত্রে অপরিহার্য ভূমিকা রাখছে। এটি সম্ভব হয়েছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর সাহসী নেতৃত্বের কারণে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিল্প সচিব জাকির সুলতানা।  

সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন, আনোয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন, ট্রান্সকম ইলেকট্রনিক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরসাদ হক ও ফেয়ার গ্রুপের প্রধান মার্কেটিং অফিসার মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২৩
জেডএ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।