ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে সঠিক পথেই আছে বাংলাদেশ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩
উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে সঠিক পথেই আছে বাংলাদেশ 

ঢাকা: বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার জন্য সঠিক পথে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর সুউলেমানি কউলিবেলি।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাওয়ের পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) কর্তৃক আয়োজিত ‘বাংলাদেশে ছোটো উদ্যোগের ক্রমবিকাশ: প্রেক্ষিত আরএআইএসই প্রকল্প’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সুউলেমানি কউলিবেলি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির মধ্যে অন্যতম। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে দেশটি ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার জন্য সঠিক পথেই রয়েছে, কারণ বাংলাদেশ করোনা মহামারি সত্ত্বেও এর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে”।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফ-এর চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার এনডিসি।

ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ জনমিতিক সুযোগ গ্রহণ করতে হলে ক্ষুদ্র উদ্যোগে বিনিয়োগ করা জরুরি। ক্ষুদ্র উদ্যোগের বিকাশে আর্থিক পরিষেবার পাশাপাশি অ-আর্থিক পরিষেবা যেমন সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে ‘রিকভারি এন্ড অ্যাডভান্সম্যান্ট অব ইনফরমাল সেক্টর ইম্পয়ম্যান্ট’ প্রকল্পের বিভিন্ন দিক নিয়ে উপস্থাপনা প্রদান করেন মহাব্যবস্থাপক (কার্যক্রম) ও প্রকল্প সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার চক্রবর্তী।

উপস্থাপনাসমূহের ওপর আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক এম. এ. বাকী খলীলী। অনুষ্ঠানে তৃণমূল পর্যায়ের আরএআইএসই প্রকল্পের কয়েকজন অংশগ্রহণকারী তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।

ছোটো উদ্যোগে মানব সক্ষমতার বিকাশের লক্ষ্যে পিকেএসএফ ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে আরএআইএসই প্রকল্প ফেব্রুয়ারি ২০২২-এ যাত্রা শুরু করে। প্রকল্পটি ৭০টি সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে দেশের ৬৪টি জেলার ৩৩৩টি উপজেলার শহর ও শহরতলি এলাকায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পাঁচ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের আওতায় ১ লক্ষ ৭৫ হাজার তরুণ ও ছোটো উদ্যোক্তার সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়ঃ ২০১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩

আরকেআর/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।