ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

তরুণদের রাজনীতির প্রতি অসন্তোষ বাড়ছে: পিটার হাস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩
তরুণদের রাজনীতির প্রতি অসন্তোষ বাড়ছে: পিটার হাস

ঢাকা: ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, বাংলাদেশের তরুণদের রাজনীতির প্রতি অসন্তোষ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। এর পেছনের কারণের মধ্যে রয়েছে-বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক সহিংসতা, দুর্নীতি, বাকস্বাধীনতায় বাধা, যে দল ক্ষমতায় থাকে, তাদের একচেটিয়া ছাত্র রাজনীতি, রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থার অভাব এবং ভোট দিতে না পারা।

 

গণতন্ত্র চর্চার জন্য সোচ্চার হতে তরুণদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

বুধবার  (১৩ সেপ্টেম্বর)  রাজধানীর  বনানীর একটি হোটেলে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত জাতীয় যুব সম্মেলনে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন তখনই সম্ভব, যখন সব ধরনের মানুষ ভূমিকা পালন করতে পারে ও ভূমিকা পালনের সুযোগ পায়। নাগরিকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারা রাজনৈতিক দল ভোটে হেরে যায়।

রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, নাগরিকদের প্রত্যাশাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এর সঙ্গে রাজনীতি ও নির্বাচন যুক্ত। রাজনৈতিক দল তাদের পরিকল্পনা নাগরিকদের কাছে তুলে ধরে এবং নাগরিকেরা সিদ্ধান্ত নেয়, কোন দল তাদের জন্য ভালো ও সে অনুযায়ী ভোট দেয়। যে দল নাগরিকদের অগ্রাধিকারকে গুরুত্ব দিতে ব্যর্থ হয়, সে দল ভোটে হেরে যায়। ভোটে জেতা ও হারা-এ দুটি বিষয়ই কার্যকর গণতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

নতুন চিন্তাভাবনা নিয়ে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে পিটার হাস বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ছাত্র রাজনীতির ভূমিকা সবাই জানে। বাংলাদেশের ভিত্তি মজবুত করেছে ছাত্র রাজনীতি। তবে এ অনুষ্ঠানে তিনি শুনেছেন, রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণের সংস্কৃতি কমে যাচ্ছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক সহিংসতা হচ্ছে। দুর্নীতি, বাকস্বাধীনতায় বাধা থাকায় রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় আস্থা হারিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন তরুণেরা। এসব কারণে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অসন্তোষ বাড়ছে তরুণদের।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আগামীর পথ চলাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে তরুণরা। তারা নতুন নতুন ধারণা নিয়ে আসবে। তরুণদের দায়িত্ব এ পরিস্থিতি পরিবর্তন করা। তরুণদের কণ্ঠ ও উদ্যোগে তারা যেমন বাংলাদেশ দেখতে চায়, তা গড়ে উঠবে। তরুণরা এগিয়ে এলেই পরিবর্তন আসবে। সহিংসতামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।  

রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে পিটার হাস বলেন, রাজনৈতিক দলের ভেতরে গণতন্ত্রের চর্চার জন্য আপনারা সক্রিয় হোন। আপনারা সোচ্চার হলে দল তরুণদের দাবির প্রতি আগ্রহ দেখাতে শুরু করবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান এবং জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩
টিআর/এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।