বেসরকারি খাতের প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি তহবিল ও শ্রমিকদের লভ্যাংশের তহবিলে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক এবং করছাড় তুলে নেওয়া হয়েছে।
এখন থেকে বেসরকারি কম্পানি ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে কর্মচারী কল্যাণ তহবিল থেকে অর্জিত আয়ের ওপর কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
তবে আয়কর আইনে সরকারি প্রভিডেন্ট ফান্ডগুলোকে কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, কর আদায়ের আরো অনেক উপায় আছে। সাধারণত কর্মচারীরা অবসর গ্রহণের পর প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে উপকৃত হন। তাই অবসরকালীন সুবিধার ওপর সরকারের কর আরোপ করা উচিত নয়।
তাঁদের বক্তব্য, কর আরোপের বিধানে বেসরকারি ও সরকারি খাতের প্রভিডেন্ট ফান্ডকে সমানভাবে বিবেচনা করা হয়নি, যা বৈষম্যমূলক। তাঁরা প্রভিডেন্ট ফান্ডে কর প্রত্যাহারের জন্য কর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করবেন বলেও মত প্রকাশ করেছেন।
বেসরকারি কর্মচারীরা বলছেন, যেহেতু এই ফান্ডগুলো এক ধরনের সামাজিক সুরক্ষা প্রদান করে, তাই এগুলোর ওপর কোনো কর আরোপ করা হলে অবসরকালীন সুবিধা কমে যাবে।
ট্রাস্ট ফান্ডের ওপর আয়কর চালু হলে এ ধরনের স্কিম থেকে সামগ্রিক আয় কমবে, যা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের ওপর দীর্ঘ মেয়াদে বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনবিআরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাক্ট-১৯২৫ অনুযায়ী সরকার পরিচালিত প্রভিডেন্ট ফান্ডের আয়ে কর ছাড় দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, মোট আয়করে পে-রোল ট্যাক্সের অবদান প্রায় ৩ শতাংশ। অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির সঙ্গে তা বাড়ানো উচিত।
তার মতে আগে বেসরকারি খাতের প্রভিডেন্ট ফান্ডে ছাড় দেওয়া হয়েছিল এবং ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়ার প্রয়োজন ছিল না। ফলে এগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়। ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়ার বাধ্যবাদকতার ফলে এখন থেকে আমরা সঠিক তথ্য জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময় : ১২২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৩
এমএম