ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নদী ভাঙন রোধে বালু উত্তোলন বন্ধ ও স্থায়ী সমাধানের দাবি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩
নদী ভাঙন রোধে বালু উত্তোলন বন্ধ ও স্থায়ী সমাধানের দাবি

রাজবাড়ী: প্রতি বছর দফায় দফায় পদ্মা নদীর তীরে ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী সমাধান ও পদ্মা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে পদ্মাপাড়ের ভিটে মাটি হারা গ্রামবাসীরা।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের চর বেনীনগর পদ্মার চরে ইউনিয়নবাসী এ মানববন্ধন করে।

মিজানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মো. নজর মোল্লার সভাপতিত্বে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।   

এ সময় বক্তব্য দেন- জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, মিজানপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কোরবান মোল্লা, মিজানুপুর ইউনিয়নে ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মান্নান মোল্লাসহ অন্যান্যরা।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবছর এ জেলায় বর্ষা মৌসুমের শুরুতে ও শেষে তীব্র ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙনে পদ্মা পারের মানুষ তাদের জমিজমা, ভিটেমাটিসহ ফসলি জমি হারাচ্ছে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও রাজবাড়ীতে পদ্মার ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনে মিজানপুর ইউনিয়নের প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকা ইতোমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত গ্রহণ করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড।

মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ আরও বলেন, অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলনের কারণে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে। ফলে প্রতি বছরই পদ্মার ভাঙন দেখা দিচ্ছে। তাই অবিলম্বে পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে।

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন জানান, রাজবাড়ী জেলা পদ্মা ও গাড়াই নদীর তীরে অবস্থিত। পদ্মা নদীর ৫৬ কিলোমিটার এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ ও গড়াই নদীর ৩৮ কিলোমিটার এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ। পদ্মার ৫৬ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ভাঙন রোধে আমরা ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সরেজমিনে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মানববন্ধন শেষে ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ ও মিজানপুর ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।