কক্সবাজার: কক্সবাজারে বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল থাকায় টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল আবারও বন্ধ হয়ে গেছে। এতে দ্বীপটিতে আটকা পড়েছেন তিন শতাধিক পর্যটক।
মঙ্গলবার (০৩ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর থেকে ওই রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশনার কথা জানান টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী।
এদিন সকালে টেকনাফ থেকে এমভি ‘বার আউলিয়া’ জাহাজটি তিন শতাধিক পর্যটক নিয়ে সেন্ট মার্টিনে যায়। দুপুরের পর থেকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে কিছু কিছু পর্যটক নিয়ে জাহাজটি টেকনাফ ফিরে এলেও তিন শতাধিক পর্যটক আবারও আটকা পড়েন।
বৈরী আবহাওয়ার কেটে গেলে আটকা পড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ইউএনও মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী।
দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকরা যেন সমস্যায় না পড়েন ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ইউএনও মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী বলেন, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে কক্সবাজারে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। এতে সাগর উত্তাল থাকায় টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন রুটে নৌযান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে উপকূলের নৌযানগুলোকে সাবধানে চলাচল করতে নির্দেশনা দিয়েছে। বুধবার (৪ অক্টোবর) সকালেও কক্সবাজার সাগর উপকূলে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত অব্যাহত থাকলে বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল থাকবে। এ কারণে সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ইউএনও আরও বলেন, চলতি মৌসুমে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে সাত দিনের জন্য এমভি ‘বার আওলিয়া’ নামে একটি জাহাজকে পরীক্ষামূলকভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু গত সাত দিনে জাহাজটি চলাচলে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়নি। এতে আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে এমভি ‘বার আউলিয়া’ ওই নৌরুটে নিয়মিত চলাচল করবে।
এছাড়াও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ছাড়পত্র সাপেক্ষে চলতি মৌসুমে অন্য জাহাজগুলোকেও চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানান মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০২৩
এসবি/এএটি