ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ট্রেনের ধাক্কায় ৩ শিশুর মৃত্যু

১৭ দিনেও খোঁজ নেই স্বজনদের, বেওয়ারিশ হিসেবে দাফনের উদ্যোগ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২৩
১৭ দিনেও খোঁজ নেই স্বজনদের, বেওয়ারিশ হিসেবে দাফনের  উদ্যোগ

ঢাকা: রাজধানীর মহাখালী আমতলী এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় তিন শিশুর মৃত্যুর ১৭ দিন অতিবাহিত হলেও তাদের স্বজনদের সন্ধান পায়নি পুলিশ। ঘটনার পর থেকে তিন শিশুর মৃতদেহের ছবি নিয়ে বহু জায়গায় ঘোরাঘুরি করলেও তাদের পরিচিত কাউকেই খুঁজে পায়নি পুলিশ।

তাই নিয়ম অনুযায়ী বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে ৩ শিশুর মরদেহ দাফন সম্পন্ন কারার সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

গত শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) মহাখালী আমতলী এলাকার রেললাইনে ভোর ৬টা থেকে সকাল ৭টার মধ্যে যে কোনো সময় কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি ট্রেনের ধাক্কায় ওই তিন শিশু মারা যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে খণ্ডিত তিন শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে রেলওয়ে থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) রাতে ঢাকা রেলওয়ের বিমানবন্দর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুনীল চন্দ্র সূত্রধর  বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান,নিহত শিশুদের বয়স আনুমানিক ১০ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। তাদের জাতীয় পরিচয় পত্র থাকার বয়স হয়নি। তাই তিন শিশুর মরদেহের শনাক্তের জন্য লাশের ছবি পাশাপাশি তাদের পরনে জামাকাপড় আলামত হিসেবে রাখা হয়।
 
ঘটনার পর থেকে তিন শিশুর মরদহের ছবি নিয়ে ঢাকা শহরের যে যেখানে বলেছে, সেখানেই পুলিশ গিয়েছে তাদের পরিবারের সন্ধানে। কিন্তু তিন শিশুর স্বজনদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে নিহতরা পথশিশু।

তিনি আরো বলেন, ঘটনাস্থলের আশপাশে বিভিন্ন বস্তিতে গিয়ে মৃত তিন শিশুর ছবি দেখানো হয়েছে।

এছাড়া পুলিশের আরও দুটি টিম তাদের পরিচয় শনাক্তের জন্য কাজ করেছে কিন্তু ঘটনার ১৭ দিন অতিবাহিত হলেও তিন শিশুর পরিবারের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এছাড়া ঢাকা শহরে সম্ভাব্য যেখানে পথ শিশুরা অবস্থান করে সেই সব জায়গায় গিয়েও নিহত তিন শিশুর ছবি দেখানো হয়েছে কিন্তু কোন হদিস পাওয়া যায়নি স্বজনদের।

তিন শিশু মৃতদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে ফ্রিজে রাখা আছে। এর আগে তাদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।

আশা করি আগামী কাল বুধবার সকালে তিনটি মৃতদেহ দাফনের জন্য আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের লোকজনদের কাছে দেওয়া হবে। তারা বেওয়ারিশ লাশ হিসাবে দাফন সম্পন্ন করবে।

এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে একটি সূত্র জানায়, রেলওয়ে থানা পুলিশের নির্দেশক্রমে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত তিন শিশুসহ আরো কয়েকটি বেওয়ারিশ মরদেহ আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামকে দেওয়া হবে। তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে আগামীকাল বুধবার সকালে তাদের আসার সম্ভাবনা আছে।

এদিকে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের প্রধান কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে দায়িত্বরত ডিউটি অফিসার শাহাবুদ্দিন খন্দকার জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গের থেকে আমাদের ফোন দিয়েছে। বেশ কয়েকটি বেওয়ারিশ লাশ দাফনের জন্য। আগামীকাল বুধবার সকালে আমাদের লোকজন মর্গে যেতে পারে এবং নিয়ম অনুযায়ী লাশগুলো গ্রহণ করে জুরাইন অথবা বসিলা কবরস্থানে শরিয়া মোতাবেক সব লাশেরই দাফন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।

 

আরও পড়ুনঃ   মর্গে ৩ শিশুর মরদেহ, ৭ দিনেও পরিচয় মেলেনি

                      ট্রেনের ধাক্কায় ৩ শিশুর মৃত্যু, খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার

 

বাংলাদেশ সময় : ২২৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০,২০২৩
এজেডএস/এমএম 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।