ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পুলিশ সার্জেন্টের স্ত্রীকে কিল-ঘুষি-লাথি, গ্রেপ্তার ১

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২৩
পুলিশ সার্জেন্টের স্ত্রীকে কিল-ঘুষি-লাথি, গ্রেপ্তার ১

বরিশাল: কটূক্তির প্রতিবাদ করায় বখাটে কিশোরদের হামলার শিকার হয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের এক সার্জেন্টের স্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বরিশাল নগরের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে ঘুরতে গেলে রাত ৮টার দিকে হামলার শিকার হন সিফাত জাহান মীম নামের ওই নারী।

তিনি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের সার্জেন্ট তৌহিদ মোর্শেদ টুটুলের স্ত্রী।

ঘটনার পরদিন শুক্রবার বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী সিফাত জাহান।  

এদিকে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ১৬ বছরের ওই কিশোর নগরের কেডিসি আব্দুর রাজ্জাক কলোনির বাসিন্দা।

হামলার শিকার মীম জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় বড়বোন, তাদের ছেলে-মেয়ে এবং কয়েকজন বান্ধবীকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে ঘুরতে গিয়েছিলেন। তাদের সঙ্গে একটি পোষা বিড়ালও ছিল। রাত ৮টার দিকে তারা উদ্যানের হেলিপ্যাড এলাকায় অবস্থান করছিলেন। এর কিছুক্ষণ পরে ২০ থেকে ২৫ জন কিশোর হেলিপ্যাডে এসে একটি কেক কাটে। কেক কাটা শেষে তারা মাদক সেবন করছিল। কিছুক্ষণ পরে একটি ছেলে তাদের কাছে গিয়ে বিড়ালটিকেও মাদক সেবন করাতে উদ্যত হয়। এমন আচরণ দেখে তারা সেখান থেকে চলে আসার সময় কিশোররা অশালীন অঙ্গভঙ্গি ও কটূক্তি করে।

এর প্রতিবাদ করায় মীমকে লাথি, কিল-ঘুষি দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেয় এক কিশোর। তখন অন্য দর্শনার্থীরা এসে তাকে উদ্ধার করে।

মীম আরও বলেন, কিছুক্ষণ পরে স্থানীয় ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জায়নাল আবেদীনের ছেলে পরিচয় দিয়ে আশরাফুল হক নামে আরেক কিশোর দলবল নিয়ে দ্বিতীয়বার তাদের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে তারা পালিয়ে যায়।

মহানগর ট্র্যাফিক পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রহিম জানান, স্ত্রীর ওপর হামলার খবর পেয়ে সার্জেন্ট টুটুল ঘটনাস্থলে গিয়ে একজনকে আটক করে কোতয়ালী মডেল থানায় সোপর্দ করেছেন।  

এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, হামলার শিকার সিফাত জাহান মীম বাদী হয়ে আশরাফুল হকসহ পাঁচজনের নামোল্লেখ করে ২৫ জনকে আসামি করে থানায় রাতেই লিখিত এজাহার দিয়েছেন। আটক কিশোরকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ফলজুল করীম বলেন, ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত ছিল তাদের চিহ্নিত করে সবাইকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।  

এদিকে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জায়নাল আবেদীন তার ছেলে হামলায় জড়িত ছিল না দাবি করে বলেন, আশরাফুল দুই পক্ষের মারামারি ছাড়িয়ে দিয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্ররোচনায় আমার ছেলেকে মামলার আসামি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২৩
এমএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।