ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নওগাঁয় র‌্যাব হেফাজতে মৃত্যু: প্রতিবেদন নিয়ে অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২৩
নওগাঁয় র‌্যাব হেফাজতে মৃত্যু: প্রতিবেদন নিয়ে অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট

ঢাকা: নওগাঁয় র‍্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের (৪৫) মৃত্যুর পুরো ঘটনার উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির প্রতিবেদন সন্তোষজনক নয় বলে মনে করেন হাই কোর্ট।

রোববার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে রুল শুনানির জন্য ২৯ নভেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেন।

 

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আবেদনকারী আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।

গত ২২ মার্চ নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় থেকে সুলতানাকে আটক করা হয়। এরপর ২৪ মার্চ সকাল ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই নারীর মৃত্যু হয়। সুলতানা নওগাঁ সদর উপজেলার চন্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সহকারী পদে চাকরি করতেন।

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) ভাষ্য, সুলতানার নামে প্রতারণার অভিযোগ ছিল। সে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করা হয়েছিল। আটকের পরপরই সুলতানা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ মার্চ স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২৫ মার্চ দুপুরে স্বজনদের কাছে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

এ অবস্থায় ডেইলি স্টারে প্রকাশিত প্রতিবেদন ২৭ মার্চ হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক। এদিন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাই কোর্ট বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় নথি চান এবং আইনজীবীকে এ বিষয়ে আবেদন করতে বলেন। সে অনুসারে আইনজীবী ওই ঘটনা তদন্তে একজন অবসরপ্রাপ্ত হাই কোর্টের বিচারপতির নেতৃত্বে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি চেয়ে রিট করেন। আর অ্যাটর্নি জেনারেল প্রয়োজনীয় নথি আদালতের সামনে তুলে ধরেন। এরপর আদালত দুটি আইনি প্রশ্নের জবাব ও পোস্টমর্টেম রিপোর্ট চেয়ে শুনানি ৫ এপ্রিল পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। পরে ৫ এপ্রিল উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনে আদেশ দেন এবং ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

পাশাপাশি এ তদন্ত চলাকালে ঘটনার সময় দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট র‍্যাব সদস্যদের সরিয়ে নিতে বলা হয়।

পরবর্তী সময়ে ১৩ জুন আরও দুই মাস সময় দেওয়া হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন গত ২০ আগস্ট আদালতে দাখিল করা হয়। সেদিন আদালত আদেশের জন্য ১৫ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। তার ধারাবাহিকতায় রোববার বিষয়টি কার্যতালিকায় ওঠে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২৩
ইএস/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।