জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি): সংবাদ প্রকাশের পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আমন্ত্রণ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জমিদাতা জমিদার জগন্নাথ রায়ের বংশধররা।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব সহকারী অধ্যাপক মো. মিঠুন মিয়া।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) পালিত হবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
জগন্নাথ রায়ের শেষ বংশধর কালিশঙ্কর রায় চৌধুরীর স্ত্রী ভারতী রায় জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক গতকাল বুধবার (১৮ অক্টোবর) তাকে ফোন করে তাদের আমন্ত্রণ জানান। কালিশঙ্কর রায় অসুস্থ। ভারতী যদি যেতে পারেন তবে মেয়ে-জামাই ও নাতিকে নিয়ে অনুষ্ঠানে যাবেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) মুঠোফোনে কথা হলে ভারতী রায় অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আমাদেরকে ডাকা হয়নি। আমার জামাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী। তাকেও কোনো নিমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অথচ আমার স্বামীর দাদার বাবা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে জমি দান করেছিলেন। আমরা ছাড়া ঢাকায় জমিদারের বংশের কেউ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অনুষ্ঠানে আমাদের এখন আর ডাকা হয় না।
এদিকে একসময়ের প্রতাপশালী জমিদারের বংশধর কালিশঙ্কর রায়ের জীবন কাটছে দুর্দশায়। এ দেশের শিক্ষা বিস্তারে নিঃস্বার্থে কিশোরীলাল নিজের নামে কিশোরীলাল জুবিলি স্কুল ও তার বাবা জগন্নাথ রায়ের নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (তৎকালীন স্কুল) জমি দেন। অথচ জীবন জীবিকার টানে বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েই চতুর্থ শেণির কর্মচারী হিসেবে কাজ করছেন কিশোরীলালের বংশধরের জামাতা। ছেলে না থাকায় সংসার চালানোর একমাত্র অবলম্বন বৃদ্ধ কালিশঙ্করের জামাতা বিপ্লব সাহা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন।
জানা যায়, বালিয়াটির এক সময়ের প্রতাপশালী জমিদার ও ব্রিটিশ সরকার থেকে রায় খেতাবপ্রাপ্ত কিশোরীলাল রায় চৌধুরী এ দেশের শিক্ষা বিস্তারের জন্য ১৮৬৮ খ্রিষ্টাব্দে তার বাবা জগন্নাথ রায়ের নামে স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর কলেজ, তারপর ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে আইন পাশের মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ নেয়। ১৮ বছরের যৌবন পার হতে চলা এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষার্থী। পড়াশোনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২৩
এমজে