ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফিলিস্তিনে বারবার আঘাত মেনে নেওয়া যায় না: শেখ হাসিনা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২৩
ফিলিস্তিনে বারবার আঘাত মেনে নেওয়া যায় না: শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

ঢাকা: ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ফিলিস্তিনের ওপর বারবার আঘাত মেনে নেওয়া যায় না।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক ভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি ১৫০টি সেতুসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকে এক হয়ে ফিলিস্তিনের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচেষ্টা চালাতে হবে। আমরাও এর সঙ্গে আছি। আমাদের লড়তে হবে। এভাবে বারবার তাদের ওপর আঘাত হানা এটা কখনো মেনে নেওয়া যায় না। এটা আমরা মানতে পারি না।

ফিলিস্তিনকে তাদের জমি ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের কথা হলো দ্রুত এই যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। ফিলিস্তিনবাসী যেন তাদের ন্যায্য জায়গা ফেরত পায়। যে জায়গাগুলো ইসরায়েল দখল করেছে সেই জায়গাগুলো ফেরত দিতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যুদ্ধের বিরুদ্ধে, আমরা শান্তি চাই। কারণ যুদ্ধের ভয়াবহতা আমরা নিজেরা জীবন দিয়ে দেখেছি।

তিনি বলেন, আজ ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর ইসরায়েল যেভাবে হামলা করে, বিশেষ করে হাসপাতালে হামলা করে নারী, শিশু, মানুষকে যেভাবে হত্যা করেছে, আমরা এর নিন্দা জানিয়েছি। যেভাবে মানুষ হত্যা করেছে, শিশু হত্যা করেছে তাদের চেহারা সহ্য করা যায় না।

অস্ত্র প্রতিযোগিতা এবং যুদ্ধ বন্ধ করে সেই টাকা সারা বিশ্বের শিশুদের শিক্ষা এবং শান্তির জন্য ব্যয় করার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

গাজায় হতাহতের ঘটনায় এক দিনের শোক পালন করার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শনিবার আমরা একটা দিন শোক দিবস ঘোষণা করেছি। সেইদিন আমাদের পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।

আগামী শুক্রবার সারাদেশের মসজিদসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফিলিস্তিনবাসীর জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করার অনুরোধ করেন তিনি।

গাজায় সহায়তা পাঠানো হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ফিলিস্তিনে ওষুধ, শুকনা খাবার, প্রয়োজনীয় পণ্য আমরা পাঠাব। আমরা সবসময় দুর্গত মানুষের পাশে আছি।

গাজা ইস্যুতে যারা চুপ, তাদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেখি অনেকে চুপ থাকেন, কারণ যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা আবার যদি নাখোশ হয়, তাই নির্যাতিতদের পক্ষে কথা বলার সাহস তাদের নেই। তারা আবার আন্দোলন করে পদত্যাগের ডাক দেয়।

এ অনুষ্ঠান থেকে ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর কেওয়াটখালি সেতু ও রহমতপুর সেতুর নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনসহ দেশব্যাপী নবনির্মিত ১৫০টি সেতু, ১৪টি ওভারপাস, ডিটিসিএ ভবন, বিআরটিএর স্বয়ংক্রিয় মোটরযান ফিটনেস পরীক্ষা কেন্দ্র, বিআরটিসির বাস ডিপো ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে আর্থিক সহায়তা দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২৩
এমইউএম/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।