দিনাজপুর: নাগরদোলা, মাটির তৈরি বিভিন্ন তৈজসপত্র, প্লাস্টিকের খেলনা কিংবা জিলাপির দোকান দেখে সাধারণ মেলা মনে হতে পারে। মেলায় জনসমাগমও অনেক।
শারদীয় দুর্গোৎসবের দশমীর পরের দিন জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে আদিবাসীদের নিয়ে এ বউমেলার আয়োজন করা হয়।
পছন্দের সঙ্গী খোঁজার এ মেলার রীতিনীতি প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো।
দিনাজপুর ছাড়াও ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়সহ বেশ কয়েকটি জেলার আদিবাসীরা এ বউমেলায় অংশ নেন। সঙ্গী পছন্দ হলেই তারা তাদের অভিভাবকদের জানিয়ে রাখেন। পরের বছরের মেলায় সেই সঙ্গীর সঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন হয়। যদিও বা আগের মতো জৌলুস নেই এ মেলার।
মেলায় আসা শীতল মার্ডি জানান, আগে এখানে জমজমাট মেলা হতো। আমার বড় ভাই এ বউমেলা থেকেই তার জীবনসঙ্গী পছন্দ করে বিয়ে করেছিলেন। তবে এখন আগের মতো না হলেও অনেকেই ঐতিহ্য ধরে রাখতে এ মেলায় আসেন। কারণ অনেকের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ হয়।
গতকাল বুধবার (২৫ অক্টোবর) বীরগঞ্জের ১১ নম্বর মরিচা ইউনিয়নের গোলাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আদিবাসী মিলন মেলার উদ্বোধন করেন দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল। পরে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
বীরগঞ্জ আদিবাসী সমাজ উন্নয়ন সমিতির সদস্য শ্যামলাল মুরমু’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ ইফতেখার আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বীরগঞ্জ সার্কেল) খোদাদাদ হোসেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাজকুমার বিশ্বাস প্রমুখ।
২০০ বছর ধরে চলে আসা এ মেলার প্রধান আকর্ষণ জীবনসঙ্গী পছন্দ করা হলেও ছোট-বড় সব বয়সী আদিবাসীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে লোকমুখে প্রচলিত এই জীবনসঙ্গী খোঁজার বউমেলা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২৩
এসআরএস