ঢাকা: সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ে দ্বিতীয় দফায় বিএনপির টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ চলছে। অবরোধের দ্বিতীয় দিনে সড়কে মোটামুটি যানবাহন থাকলেও যাত্রী স্বল্পতার কারণে আয়-রোজগারে ধস নেমেছে যানবাহন চালকদের।
সোমবার (৬ নভেম্ববর) রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে মোটরসাইকেল, সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও রিকশাচালকদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া যায়।
নিবিড় আহমেদ নামে এক যুবক থাকেন মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায়। ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালান তিনি। সকাল থেকে রামপুরা প্রধান সড়কে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন এই মোটরসাইকেল চালক।
কথার শুরুতেই এক বাক্যে নিবিড় বলেন, অবস্থা খুবই খারাপ! একদম যাত্রী নেই। বেলা ১১টায় বেরিয়েছি, এখন সাড়ে ১২টা বাজে, এখনো বিসমিল্লাহ করতে পারিনি! অথচ অবরোধের আগে যাত্রীরা নিজেরাই ডাকতো। এখন আমরা ডেকেও যাত্রী পাই না!
সড়কটিতে অনেক রিকশাচালককে যাত্রীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। রিকশাচালক মোকলেস থাকেন বাড্ডায়। অবরোধের আগের দিনগুলোতে তিনি প্রতিদিন হাজারের বেশি উপার্জন করেছেন। এখন অবরোধের কারণে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ওঠাতেই তাকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এই রিকশাচালক বলেন, স্বাভাবিক সময় অফিস টাইম ও বিকেলের দিকে যাত্রীরা রিকশায় ওঠা নিয়ে পাড়াপাড়ি করতো। আর এখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছি যাত্রীর অপেক্ষায়।
রাজধানীর অন্যান্য সড়কে যাত্রীর অপেক্ষায় থাকা অটোরিকশা চালকরা জানান, তাদের অবস্থাও নাজুক। মহাজনের জমা ওঠাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অবরোধে বাসে আগুন দেওয়া হচ্ছে। অনেকে ভয়ে সিএনজিতে উঠতে চাচ্ছেন না।
এক অটোরিকশা চালক বলেন, জায়গায় জায়গায় যাত্রীদের জিজ্ঞেস করছি, কোথাও যাবেন কি না। বেশির ভাগ যাত্রী না বলে দিচ্ছে। আজ উত্তরায় এক যাত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম যাবেন কি না। জবাবে যাত্রী বলেন, বাসে আগুন দিচ্ছে, সিএনজিতে আগুন দিলে বেরোনোর সুযোগ নেই!
যানবাহন চালক সবার এক কথা— এভাবে অবরোধ চলমান থাকলে তারা নিঃশেষ হয়ে যাবেন। পরিবার নিয়ে রাস্তায় নামতে হবে তাদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০২৩
এজেডএস/এমজেএফ