ঢাকা: তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের যে নতুন ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটা বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বেঁচে থাকার জন্য গ্রহণযোগ্য বলে জানিয়েছেন মজুরি বোর্ডের শ্রমিক প্রতিনিধি ও গার্মেন্টস শ্রমিক-কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শ্রমিকদের মজুরি আট হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ১২ হাজার টাকা করার ঘোষণা দেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।
তিনি বলেন, মূল মজুরি ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে পোশাকশ্রমিকদের জন্য সাড়ে ১২ হাজার টাকা সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে। মজুরি বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী মালিক ও শ্রমিক পক্ষকে নিয়ে সর্বনিম্ন মজুরি ঘোষণা করা হলো। দীর্ঘ দিন শ্রমজীবী মানুষ আন্দোলন করে আসছে মজুরি বাড়ানো জন্য। মালিকদের বলবো ফ্যাক্টরি খুলে দেবেন, শ্রমিকদের বলবো কাজে যোগদান করতে। ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট বহাল আছে।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শ্রমিকনেতা সিরাজুল ইসলাম রনি বলেন, আমি ৪০ বছর ধরে এ শিল্প খাতে কাজ করছি। আমাদের বাস্তব অবস্থাকে বিবেচনায় নিতে হবে। শ্রমিকরা যাতে কর্মচ্যুত না হয়, তাদের যেন বাড়ি ফিরে যেতে না হয়, তাদের অবস্থা আমাদের দেখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন, সে অনুসারে আমরা মনে করি, এটা বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বেঁচে থাকার জন্য মোটামুটি একটা অবস্থায় গিয়ে দাঁড়াবে। এটা গ্রহণযোগ্য।
তিনি বলেন, আমরা খুশির অবস্থায় নেই। রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন পরিস্থিতি মিলিয়ে আমরা এটা মেনে নিয়েছি। কিন্তু আমরা খুশিও না, বেজারও না। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের প্রত্যাশা থাকলেও আমরা আপাতত এটা মেনে নিয়েছি। আমাদের অনেকগুলো দাবি আছে, গেজেট হওয়ার সময় সেগুলো পরিষ্কার হওয়া যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা, শ্রমিকদের পক্ষ প্রতিনিধি ছিলেন শ্রমিক নেতা সিরাজুল ইসলাম রনি। অন্যদিকে মালিকদের পক্ষ থেকে বিকেএমইএ এর সভাপতি সেলিম ওসমান, বিজিএমইএ এর সভাপতি ফারুক হাসান, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনসহ অন্যান্য নেতারা। এছাড়া নিম্নতম মজুরি বোর্ডের সচিব রাইসা আফরোজ, নিরপেক্ষ সদস্য অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন এবং শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্বকারী সদস্য ও জাতীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহম্মদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০২৩
জিসিজি/আরআইএস