চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর সীমান্তে গুলিতে নিহত রবিউল হক নামে এক বাংলাদেশি ব্যক্তির মরদেহ দেড় মাস পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
শনিবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে সীমান্তের ৯০ নম্বর মেইন পিলারের কাছে দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ ফেরত দেয় বিএসএফ।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সূত্রে জানা গেছে, রবিউলের মরদেহ ফেরত চেয়ে পরিবারের সদস্যরা বিজিবি ব্যাটালিয়নে আবেদন করেন। বিজিবি উভয় দেশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষ করার পর শনিবার বিকেলে বিএসএফ মরদেহ ফেরত দেয়। এসময় অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক হায়দার আলী। আর ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৮২ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন রঙের পোতা ক্যাম্পের ইন্সপেক্টর শ্রী ধারাম বীর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির আইসি এসআই ইমরান হোসেন, এএসআই মসলেম উদ্দিন ও এএসআই সাইদুর রহমান।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে রবিউল হক তোঁতাপাখি পারাপার করতে ভারতের অভ্যন্তরে যান। পরে দেশে ফেরার পথে ঠাকুরপুর সীমান্তের ৯২ নম্বর মেইন পিলারের কাছে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন তিনি। নিহত রবিউল হক জেলার দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী পীরপুরকুল্লা গ্রামের মৃত মইতুল্লার ছেলে। শনিবার এশার নামাজের পর রবিউলের মরদেহ স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২৩
এসআই