ঢাকা: একদিকে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে বৃষ্টি, অন্যদিকে সাপ্তাহিক ছুটি-দুইয়ে মিলে রাস্তায় বের হচ্ছে না মানুষ। ফলে রাজধানীর সড়কে নেই স্বাভাবিক সময়ের মতো মানুষের চাপ।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ভোর থেকেই রাজধানীতে পড়ছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। মাঝে মাঝে বাড়ছে সেই বৃষ্টির তীব্রতা। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এমন বৃষ্টি হওয়ায় ঘরেই দিন কাটাছে বেশিরভাগ নগরবাসীর। যারা প্রয়োজনের বের হচ্ছেন, তারাও ছাতা মাথায় বা ভিজে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় খুবই কম মানুষ রাস্তায় বের হয়েছেন। সড়কে রিকশাসহ গণপরিবহনের সংখ্যাও কিছুটা কম। যাত্রী না থাকায় যেসব গণপরিবহন চলছে সেগুলোও অনেকটা ফাঁকা। ফলে রাস্তায় নেই চিরচেনা যানজটের চিত্র।
এদিকে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সাধারণত বাজারগুলোতে মানুষের ভিড় থাকে। কিন্তু আজ বৃষ্টির কারণে সেই ভিড়ও দেখা যায়নি। ফলে এই বৃষ্টির দিন ব্যস্ততাহীনভাবেই কাটছে বিক্রেতাদেরও।
এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (২০.৩° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮.৬° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আজ সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১৫ কি.মি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯৫ কি.মি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৬৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৭০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রপ্রান্ত এ দিন দুপুর নাগাদ উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে।
মিধিলির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের উপর দিয়ে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২৩
এসসি/এসআইএস