লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আঘাতে ২১১টি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৬১টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত এবং বাকি ৫০টি ঘর পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ইউনুস মিয়া শনিবার (১৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাংলানিউজকে বলেন, ঝড়ে ১৬১টি বসতঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত এবং ৫০টি কাঁচাঘর পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. জাকির হোসেন বলেন, কয়েকটি স্থানে ক্ষেতে থাকা আমন ধানের গাছ ভেঙে পড়েছে। আমন ও সবজি ক্ষেতে পানি জমে আছে। পানি দ্রুত নেমে গেলে ধানসহ ফসলের ক্ষতি কম হবে।
তিনি জানান, জেলাতে ৮৩ হাজার ৫০৯ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে। শীতের সবজির আবাদ হয়েছে তিন হাজার হেক্টর জমিতে। ক্ষেতের আমন ধান এখনো কাঁচা। এ পর্যন্ত ৬ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার জাকির হোসেন বলেন, ঝড়ে জেলার বিভিন্নস্থানে আমাদের একশটির বেশি খুঁটি পড়ে গেছে। গাছপালা পড়ে তিনশর বেশি স্পটে তার ছিঁড়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে ট্রান্সফরমারে সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল করতে আমাদের কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২৩
আরএ