ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

চাঁদা না দেওয়ায় একই পরিবারের ৬ জনকে কুপিয়ে জখম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০২৩
চাঁদা না দেওয়ায় একই পরিবারের ৬ জনকে কুপিয়ে জখম

নোয়াখালী: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চাঁদা না দেওয়ায় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকসহ ছয়জনকে কুপিয়ে জখম করেছে বাজার কমিটির লোকজন।  

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের গাংচিল বাজারে এ ঘটনা ঘটে।


আহতরা হলেন, গাংচিল বাজারের রাজ গার্মেন্টসের মালিক শাহরাজ উদ্দিন (৩১), হাজী মুস্তাফিজুর রহমান (৮৩), মো. বেলায়েত হোসেন (৬৩), ওমর ফারুক (৩৮), শাহাব উদ্দিন (৬৩) ও ইমাম হোসেন খান (৫৬)।

স্থানীয়রা জানায়, ব্যবসা করতে হলে গাংচিল বাজারের রাজ গার্মেন্টসের মালিক শাহরাজ উদ্দিনের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. রাজীব খান। টাকা না দেওয়ায় বিভিন্ন সময় তিনি ওই ব্যবসায়ীকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে দেশীয় অস্ত্রসহ রাজিব ও তার সহযোগীরা রাজ গার্মেন্টস নামের কাপড়ের দোকানে হামলা ও ভাঙচুর চালান। এতে ওই দোকানের ছয়জন আহত হন। এ হামলার  ২ মিনিট ৫১ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

রাজ গার্মেন্টসের মালিক শাহরাজ উদ্দিন জানান, বাজারে ব্যবসা করতে হলে আমার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজিব। আমি না দেওয়ায় বিভিন্ন সময় তারা হুমকি দিয়ে আসছিলেন। চাঁদা না দিলে ব্যবসা করতে দেবে না। এর জেরে শুক্রবার রাতে রাজিব সন্ত্রাসী নিয়ে দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। পাশাপাশি আমার দাদা, চাচা, ভাইসহ ছয়জনকে কুপিয়ে জখম করে।  

আহত শাহরাজ উদ্দিনের ভাই রবিউল হোসেন জানান, দেশীয় অস্ত্র দিয়ে একের পর এক কোপ দিয়ে ছয়জনকে জখম করে সন্ত্রাসীরা। তাদের কোপে আমার দাদা হাজী মুস্তাফিজুর রহমান মারা গেছেন এমন খবর শুনে তারা ভয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল হক জানান, হাতাহাতির খবর শুনে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি আহতরা পড়ে আছেন। পরে পুলিশকে জানাই এবং অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে আহতদের হাসপাতালে প্রেরণ করি। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এভাবে জখম করা মর্মান্তিক ঘটনা।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. রাজীব খানের মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল হলেও ফোন রিসিভ না করায় তার কোনো বক্তব্য নেওয়া যায়নি।  

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তুচ্ছ ঘটনায় এমনটা ঘটেছে। আমরা ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, ০২, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।