পাবনা: পাবনা পৌর এলাকার শালগাড়িয়া মহল্লার অটোরিকশা চালক আসাদুজ্জামান আসাদ শেখের স্ত্রী গৃহবধূ অশা খাতুন (৪০)। দীর্ঘ ছয় বছর ধরে জটিল কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে উন্নত চিকিৎসার অভাবে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঢলে পরছেন তিনি।
জানা গেছে, দিনমজুর অটোচালক আসাদ শেখ ও স্ত্রী অশা খাতুনের পরিবারে রয়েছে তিনটি সন্তান। এক মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন কয়েক বছর আগে। বর্তমানে দুটি সন্তান নিয়ে তাদের সংসার। আর্থিক সংকটের কারণে স্ত্রীকে সুচিকিৎসা করাতে পারছেন না আসাদ। দীর্ঘ সময় সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে নিজ জেলা শহরসহ রাজধানী ঢাকাতে অবস্থিত কিডনি ফাউন্ডেশনে নিয়মিত চিকিৎসা করিয়েছেন স্ত্রীকে। সর্বশেষ পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসকেরা জানান আশা খাতুনের দুটি কিডনির ছাঁকনি ফুটো হয়ে গেছে। এখন তার উন্নত চিকিৎসা জন্য দরকার মোটা অঙ্কের টাকা। তবে অটোচালক আসাদ শেখের পক্ষে তার স্ত্রীকে উন্নত চিকিৎসা করোনার মতো সামর্থ্য নেই। তাই সমাজের বৃত্তবানসহ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন পরিবারটি।
আশা খাতুন পাবনা ঈশ্বরদী উপজেলার সারা ইউনিয়নের আরাম বাড়িয়া ধাপারিয়া গ্রামের আতাউর রহমানের মেয়ে। প্রায় ২০ বছর আগে আসেন আসাদ শেখের সঙ্গে বিয়ে হয়ে তার পরিবারে আসেন আশা। তখন তাদের আর্থিক অবস্থা মোটামুটি সচ্ছল ছিল। তবে এখন অর্থ সংকটের মধ্যদিয়ে চলছে পরিবারটি। এখন প্রতি মাসে স্ত্রীর চিকিৎসা ও ডায়ালাইসিস করতে যে অর্থের দরকার হচ্ছে সেটিও করতে পারছে না আসাদ। নিজের জমাকৃত অর্থ আর প্রতিদিনের ইনকাম দিয়ে স্ত্রীর এই জটিল রোগের চিকিৎসা করাতে গিয়ে পথে বসে গেছেন তিনি। কোনো রকমে দিন এনে খেয়ে চলছে তাদের সংসার। পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করতে হচ্ছে তাদের। তাই তার দুটি সন্তানের দিকে তাকিয়ে স্ত্রীকে বাঁচিয়ে রাখার আঁশায় সবার কাছে সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন পরিবারটি। সমাজের সচেতন, বিবেকবান, মানবিক বিত্তবান মানুষের একটু আর্থিক সহযোগিতা ও উন্নত চিকিৎসায় হয়ত বেঁচে যেতে পারেন গৃহবধূ আশা খাতুন।
সাহায্য বা পরিবারটির সঙ্গে যোগাযোগ করতে- ০১৭৫৩-৫৭০৭৮১ নম্বরটিতে কল করার অনুরোধ করেন গৃহবধূ স্বামী আসাদ।
মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভূতি কি, মানুষ পেতে পারে না ও বন্ধু। ভুপেন হাজারিকার কালজয়ী জীবনমুখী এই গান আমাদের সবারই জানা। সমাজের অসহায় মানুষদের পাশে সৃষ্টিকর্তা কারো না কারো মাধ্যমে এগিয়ে আসেন সহযোগিতার হাত নিয়ে। এই অসহায় বিপদগ্রস্ত পরিবারটির পাশে রাষ্ট্র অথবা সমাজের বিত্তবান মানুষ এগিয়ে আসবেন এমনটাই প্রত্যাশা করে অসহায় পরিবারটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২৩
এসএম