মাদারীপুর: মাদারীপুরে ধর্ষণের বিচার না পেয়ে হামিদা বেগম নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার মধ্যেরচক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গত ৩ আগস্ট রাতে বাড়ির বাইরে বের হন ওই গৃহবধূ হামিদা বেগম। এ সময় মাদারীপুর সদর উপজেলার খাসচর তালেরপুল এলাকার আজিজুল খানের ছেলে শামীম খান (৪২) তাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। সেসময় ভিডিও ধারণ করে গৃহবধূর কাছে কয়েক ধাপে চাঁদা দাবি করে শামীম। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গৃহবধূকে হুমকিও দেওয়া হয়। এ বিষয়ে শামীমের পরিবারের কাছে নালিশ দিয়ে বিচার না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন ভুক্তভোগী।
সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে শামীমসহ তিনজনের নামে ধর্ষণ ও প্রতারণার মামলা দায়ের করেন হামিদা। পরে আদালতের বিচারক মো. ইসমাইল হোসেন শুনানি শেষে মামলাটি থানা পুলিশকে রেকর্ড করতে নির্দেশ দেন। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে গৃহবধূর ধর্ষণের ভিডিও তার স্বামী ও বিভিন্ন মানুষের মোবাইলে ছড়িয়ে দেন ওই ধর্ষক। পরে লোকলজ্জার ভয়ে মঙ্গলবার বিকেলে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই গৃহবধূ।
একাধিক সূত্র জানায়, আদালতে দায়েরকৃত মামলাটি ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে রেকর্ড করে আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে অভিযুক্ত শামীম খান শিগগিরই দেশের বাইরে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন শামীম খান (৪২), শামীমের বাবা আজিজুল খান (৫০) ও শামীমের মা রহিমা বেগম (৪৫)।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম সালাউদ্দিন বলেন, লোকমুখে গৃহবধূর আত্মহত্যার খবর শুনেছি। পরে পুলিশ গিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২৩
আরএ