ঢাকা: বিনা অনুমতিতে তিন বছর কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় সাময়িক বরখাস্ত উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (রিজার্ভ) ফারহানা জাহানকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে সরকার।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) সম্প্রতি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ফারহানা জাহান ২০২০ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। এ কারণে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তিনি কোনো জবাব দেননি।
এরপর তাকে আবার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয় জানিয়ে এতে বলা হয়, এরপর ফারহানা জাহান ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিলেও ক্রমাগতভাবে সরকারি চাকরিতে অনুপস্থিত এবং জবাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সম্পর্কে অসৌজন্যমূলক, বিভ্রান্তিকর ও শিষ্টাচার বহির্ভূত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। যা ভিত্তিহীন এবং সন্তোষজনক নয় মর্মে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মতামত দেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তার এ কার্যকলাপ সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী ‘অসদাচরণ ও পলায়ন’ এর শামিল এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এজন্য তাকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপরই তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। এ বিষয়ে ফারহানা জাহান লিখিত জবাব দেন এবং তিনি ব্যক্তিগত শুনানিতে ইচ্ছুক নন বলে জানান।
এতে জানানো হয়, এরপর তার বিরুদ্ধে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত প্রতিবেদনে ফারহানা জাহানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে মর্মে মতামত দেন। বিধি মোতাবেক ‘চাকরি হতে বরখাস্তকরণ’ সূচক গুরুদণ্ড দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়। এরপর দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়। নির্ধারিত সময়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তা ফারহানা জাহান কোনো জবাব দাখিল করেননি।
গুরুদণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতি থেকে অনুমোদিত হয়েছে জানিয়ে এতে বলা হয়, এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনও একমত পোষণ করেছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ফারহানা জাহানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ, বিভাগীয় মামলার তদন্ত প্রতিবেদন, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের মতামত ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পর্যালোচনা ক্রমে বর্ণিত ‘অসদাচরণ ও পলায়ন’ এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ‘চাকরি হতে বরখাস্তকরণ’ সূচক গুরুদণ্ড দেওয়া হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২৪
জিসিজি/এসআইএস