ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

৫০০ পোস্ট অফিসে স্মার্ট সার্ভিস পাওয়া যাবে: পলক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৪
৫০০ পোস্ট অফিসে স্মার্ট সার্ভিস পাওয়া যাবে: পলক

ঢাকা: দেশের ৫০০ পোস্ট অফিসে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেছেন, সরকারি ও বেসরকারি সেবাদানকারী হিসেবে পোস্ট অফিসগুলোয় স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট করতে চাই।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হুইটলির সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে জেলা ও উপজেলা সদরে আমাদের ৫০০ পোস্ট অফিস আছে, যেগুলোর অবস্থান খুবই চমৎকার। সেখানে সরকারের পোস্ট অফিসের সেবার পাশাপাশি আমরা স্মার্ট পয়েন্টস স্থাপন করবো। সেখানে সরকারি ও বেসরকারি সেবাদানকারী হিসেবে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট করতে চাই। ৫০০টি পয়েন্টে এই সেবা দেওয়া হবে। যেটা মাত্র ৪৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প।

ইইউ প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তি ও জ্ঞানসহ সার্বিক সহায়তা নিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং এখনো আছে। নতুন সরকারের নতুন যে রূপকল্প, নতুনভাবে আমরা যে কাজ করছি, সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশে রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে স্মার্ট সরকার প্রতিষ্ঠার জায়গায় আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তা পাব। তারা এখানে বিনিয়োগ করবেন, তাদের প্রযুক্তি ও জ্ঞান সহায়তাও তারা দেবেন।

পলক বলেন, বিভিন্ন নীতিগত সহায়তাও তারা আমাদের পাশে থাকবেন। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে একসঙ্গে কাজ করতে আমরা তিনটি প্রকল্প প্রস্তাব চার্লস হুইটলির কাছে দিয়েছি।

আমাদের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চ্যাম্পিয়ন। সেখানে ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক আমাদের এরইমধ্যে ৫০০ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। সঙ্গে আরও এক বিলিয়ন ডলার তারা দিতে প্রস্তুত আছে। সেখানে ২০০ মিলিয়ন ইউরোর একটি প্রকল্পে আমরা ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার একটি প্রকল্পের প্রস্তাব আমি আজ রেখেছি। আমরা আর্থিক সম্পর্ক বিভাগের মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে এগোব।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বিভিন্ন দ্বীপ, রিভার, আইল্যান্ড, বিল ও হাওড়া অঞ্চলে ব্রডব্যান্ড সংযোগ নিয়ে যাওয়াসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করার জন্য আমরা একটি ডিজিটাল দ্বীপ, হাওড় ও বিল প্রকল্প প্রস্তাব দিয়েছি। ইইউ রাষ্ট্রদূত আমাদের পক্ষ হয়ে যাতে একটা অর্থায়নের ব্যবস্থা করে, সেটাও প্রায় ১০০ মিলিয়ন ইউরোর মতো প্রস্তাব। সেটাও ইআরডির মাধ্যমে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৪
এমআইএইচ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।