ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিআরটিএ-পাসপোর্ট-সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুদকের অভিযান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৪
বিআরটিএ-পাসপোর্ট-সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুদকের অভিযান

ঢাকা: নানা অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট ইউনিট সারা দেশে তিনটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এর মধ্যে মিরপুর বিআরটিএ, আগারগাঁও বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস এবং যশোরের সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুদক সূত্রে এতথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, মিরপুর বিআরটিএ, ঢাকা মেট্রো সার্কেল-১ অফিসে বিভিন্ন সেবা দিতে গ্রাহক হয়রানি ও দালালদের দৌরাত্ম্যের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক, প্রধান কার্যালয় থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রণজিৎ কুমার কর্মকারের নেতৃত্বে সহকারী পরিচালক আল-আমিন, মো. জাকিউল আলম ও মো. মেহেদী মুসা জেবিনের সমন্বয়ে গঠিত চার সদস্যের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম এ অভিযান পরিচালনা করেন। এনফোর্সমেন্ট টিম ছদ্মবেশে গ্রাহক হিসেবে সেবা নিতে গেলে উক্ত দপ্তরে দালালদের আনাগোনা দেখতে পায়। এ সময় একজন দালাল, দুজন দায়িত্বরত আনসার সদস্য ও বিআরটিএতে কর্মরত একজন সিএনএস কর্মীকে হাতেনাতে ধরে দুদক টিম। তাদের ফোনে বিভিন্ন অ্যাপে বিভিন্ন সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে অস্বাভাবিক আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া যায়। এনফোর্সমেন্ট টিম তাদের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর কাছে উপস্থিত করলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে দালাল ও সিএনএস কর্মীকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং অভিযুক্ত দুজন আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়।

পরে টিম বিআরটিএর চেয়ারম্যানের কাছে অভিযানে প্রাপ্ত তথ্যাবলি তুলে ধরলে তিনি দুদকের এ অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং দপ্তরগুলোকে জনবান্ধব করার আশ্বাস দেন। অভিযানকালে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র যাচাইপূর্বক এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।

এদিকে বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস, আগারগাঁও, ঢাকায় গ্রাহক হয়রানি ও দালালদের দৌরাত্ম্যের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নূর আলম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে সহকারী পরিচালক সুভাষ চন্দ্র মজুমদার ও মো. শাওন হোসেন অনিক এবং উপসহকারী পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান এর সমন্বয়ে গঠিত চার সদস্যের এনফোর্সমেন্ট টিম এ অভিযান পরিচালনা করে।  

অভিযানকালে টিম প্রত্যক্ষ করে, আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের পাশে কম্পিউটার দোকানকেন্দ্রিক একটি দালালচক্র গড়ে উঠেছে। অভিযানকালে তিনজন দালালকে হাতেনাতে ধরা হয়। পরবর্তীতে পরিচালক, বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস, আগারগাঁওকে দালালদের দৌরাত্ম্যের বিষয়টি অবগত করে গ্রাহক হয়রানি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়।

এছাড়া সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, যশোর এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও দলিল সম্পাদনের ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন ফি এর অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক, সজেকা, যশোর হতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে অফিসে হেবা দলিল ও কবলা দলিল সম্পাদন সংক্রান্ত নথিপত্র সংগ্রহ করে টিম। অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়ে সেবাগ্রহীতাদের বক্তব্য গ্রহণ করা হয়। গৃহীত বক্তব্য ও নথিপত্র যাচাইপূর্বক টিম কমিশন বরাবর অভিযানের বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৪
এসএমএকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।