ফরিদপুর: ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তার ও তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে। এ ঘটনায় নারীসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ভাঙ্গা উপজেলার নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের বাররা ও ফুকুরহাটি গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরে পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে মর্জিনা বেগম (৪৫), রেহানা বেগম (৪০), মুন্নি আক্তার (২০) ও আলামিন মীরকে (২২) সদরপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের বাররা গ্রামে ১২৭ তম শাহ সুফি হজরত রহমান ফকিরের ওরস উপলক্ষে মেলার আয়োজন চলছিল। মেলায় বাররা গ্রামের আলামিন ও মুন্নার সঙ্গে ফুকুরহাটি গ্রামের নুরু খাঁর ছেলে রতনের কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার সূত্র ধরে আলামিনের দলের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওরশস্থলে চলে আসেন। তখন মেলায় আগত লোকজন ও ফুকুরহাটি গ্রামের লোকজন সম্মিলিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদেরকে ধাওয়া করে। এসময় ৭/৮টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
বাড়িঘর ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- আলামিন, বারেক মীর, লুৎফর মীর, জব্বার মীর, জহুর জমাদ্দার , ইউনুস জমাদ্দার ও মর্জিনা বেগম।
খবর পেয়ে শুক্রবার রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি শান্ত করে ভাঙ্গার থানা পুলিশ। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে শনিবার এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এ বিষয়ে নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাররা গ্রামের আলামিন জানান, আমরা কাজী জাফর উল্লাহর নৌকার নির্বাচন করেছি। আর ফুকুরহাটি গ্রামের রতন ও জুয়েল নিক্সন চৌধুরীর ঈগল প্রতীকের নির্বাচন করেছে। আমরা নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় আমাদের ওপরে হামলা করে তারা।
এবিষয় স্থানীয় নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম তারেক জানান, বাররা বাজার প্রতিবছর রহমান শাহের ওরশ উপলক্ষে মেলা আয়োজন করা হয়। মেলায় বাররা গ্রামের আলামিন ও মুন্নার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী পুকুরহাটি গ্রামের নুরু খাঁর ছেলে রতন খাঁ সঙ্গে কথা কাটাকাটির হয়। এরপর তখন মেলার লোকজন রতনের পক্ষ নিয়ে তার ঘরে আলামিন মারধর করে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার এস,আই আব্দুল হক জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় দুই পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল হয়েছে। রাতেই ভাঙ্গা থানায় একটা অভিযোগ দিয়েছে। তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতির শান্ত আছে।
এ বিষয় ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৪
এসএএইচ