ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সালথায় দুই বাড়িতে ডাকাতি, স্বর্ণালংকারসহ মালামাল লুট

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪
সালথায় দুই বাড়িতে ডাকাতি, স্বর্ণালংকারসহ মালামাল লুট

ফরিদপুর: ফরিদপুরের সালথায় দুই বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা উভয় বাড়ির পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।

খবর পেয়ে মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) সকালে উভয় বাড়ি পরিদর্শন করেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এর আগে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের হরিণা গ্রামের সাইফুর মোল্যা ও সোনাপুর ইউনিয়নের হোগলাকান্দী গ্রামের হাফেজ আতিকুর রহমান তালুকদারের বাড়িতে পৃথক এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার জানান, সোমবার রাত ১টার দিকে হরিণা গ্রামের সাইফুর মোল্যার একতলা ভবনের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ৭-৮ জনের মুখোশধারী ডাকাত। তারা ঘরে প্রবেশ করে প্রথমে সাইফুর রহমান ও তার স্ত্রীকে ওড়না দিয়ে বেঁধে রাখে। পরে ঘরে থাকা কাঠের একটি আলমারি ভেঙে ১৫ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার, দুই মোবাইল ফোন ও নগদ এক লাখ টাকা নিয়ে যায়।

অপরদিকে একই রাত ৩টার দিকে হোগলাকান্দী গ্রামের হাফেজ আতিকুর রহমান তালুকদারের বাড়িতে একই কায়দায় ওয়াল করা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ৭-৮ জনের একদল মুখোশধারী ডাকাত। ডাকাতরা আতিকুর রহমান, তার স্ত্রী শাহিনা বেগম, ছেলে শাহাবুদ্দিন ও ছেলের স্ত্রী তাসলিমা বেগমকে ওড়না-গামছা দিয়ে বেঁধে রাখে। পরে ঘরে থাকা কাঠের আলমারি, স্টিলের শোকেজ ও বাক্স ভেঙে প্রায় তিন ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার, ছয়টি মোবাইল ফোন ও নগদ ২৩ হাজার টাকা লুটে নেয়।

ক্ষতিগ্রস্ত উভয় পরিবারের সদস্যরা বলেন, ডাকাতদের পরনে আন্ডারওয়ার, লুঙ্গি ও হাফপ্যান্ট ছিল। তারা সবাই স্থানীয় ভাষায় কথা বলেছে। সবার বয়স ৩০ থেকে ৩৫ বছর করে হবে। ডাকাতরা ঘরে প্রবেশের পর ঘণ্টাব্যাপী তাণ্ডব চালালেও উভয় পরিবারের সদস্যদের কাউকে মারধর  করেনি।  

ডাকাতির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল নগরকান্দা) মো. আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন, খবর পেয়ে রাতেই উভয় বাড়িতে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হবে। মঙ্গলবার সকালে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), আমি ও সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ ফায়েজুর রহমান উভয় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। ধারণা করা হচ্ছে, একই ডাকাতরা উভয় বাড়িতে হানা দিয়ে লুটপাট করেছে।  

তিনি আরও বলেন, আমরা উভয় ডাকাতির ঘটনায় একটি টিম গঠন করেছি। ইতোমধ্যে ডাকাতদের গ্রেপ্তারে ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা শুরু করেছি। আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকাতদের আইনের আওতায় আনতে পারবো।

বাংলাদেশ সময়: ২২১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৪
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।