জামালপুর: জামালপুরের ইসলামপুরে কলা চুরির অভিযোগে শাওন মিয়া (১৮) নামে এক কিশোরকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) ভাইরাল হয়েছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পরে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুইজনকে আটক করে পুলিশ।
এর আগে গত শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় ইসলামপুর পৌর শহরের মোশারফগঞ্জ তেঘুরিয়ার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শাওন মিয়া ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
নির্যাতনের শিকার সালমান শাওন পৌরসভার পলবান্দা উজানপাড়ার আকরাম হোসেন নেদা মিয়ার ছেলে। সে বেলগাছা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যান্ড বি এম কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
আটক আজিম মিয়া (১৯) পৌর শহরের মোশারফগঞ্জ তেঘুরিয়ার গ্রামের সামিউলের ছেলে। অপরজন একই এলাকার ফজলুল হক।
স্থানীয়রা জানায়, প্রতিদিনের মতো শনিবারও শাওন মোশারফগঞ্জ যায়। সেখান থেকে তাকে মোশারফগঞ্জ তেঘুরিয়ার গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী সামিউল ইসলাম ডেকে নিয়ে বাড়ির দেয়ালের গ্রিলের সঙ্গে বেঁধে তার ছেলে আজিমসহ আরও কয়েকজন মিলে কলা চুরির অপবাদ দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। সেই নির্যাতনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। গুরুতর আহত শাওন বর্তমানে ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় কাউন্সিলর ছামিউল ইসলামসহ এলাকাবাসী। তারা জানান, শত্রুতার জেরে শাওনকে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত করে এর বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
নির্যাতনের শিকার সালমান শাওন বলেন, আমি প্রতিদিন মোশাররফগঞ্জ বাজারে আড্ডা দেই। ওইদিন তারা আমাকে ফলো করছিল। আমাকে ডেকে নিয়ে তারা এমন নির্যাতন করবে সেটা আমারও জানা ছিল না। আমার মুখ ও হাত-পা বেঁধে তারা অনেক মারে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত সামিউল হকের সঙ্গে কথা বলতে তার বাড়িতে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন তালুকদার বলেন, নির্যাতনের ঘটনায় দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪
আরএ