মাদারীপুর: মাদারীপুর জেলার শিবচরের পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় আটজনকে আটক করেছে নৌপুলিশ। এসময় একটি ড্রেজার এবং বালুবাহী বাল্কহেড জব্দ করেছে পুলিশ।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় শিবচর থানায় মামলা দায়ের করে বিকেলে আটকদের থানায় হস্তান্তর করেছে নৌপুলিশ।
শিবচরের চরজানাজাত নৌপুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদারীপুরের চরজানাজাত নৌপুলিশ এবং মাওয়া ও মাঝিরঘাট নৌপুলিশ যৌথ অভিযান চালায় পদ্মা নদীতে। এসময় পদ্মা নদীর শিবচর উপজেলার চরচান্দ্রা এলাকার হাজরা চ্যানেল মুখে অবৈধভাবে একটি চক্রকে বালু উত্তোলন করতে দেখে পুলিশ। পরে ড্রেজার ও বালুবাহী বাল্কহেড থেকে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত আটজনকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন-মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান এলাকার মো. সেলিম কাজী (৪২), শরীয়তপুরের পদ্মা সেতুর দক্ষিণ থানা এলাকার মো. রেজাউল ইসলাম রাজা (৩২), ভোলার মো. জামাল হোসেন (২৭), বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার মো. কাজল (৫০), বানারীপাড়া উপজেলার মো. নাঈম (২৮), বাকেরগঞ্জের ফয়সাল হোসেন (৩০), সোহান হাওলাদার (২২) এবং মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার মো. রহিম মুন্সী (৫৫)।
এসময় এমভি স্বপ্নের বাংলা লোড ড্রেজার এবং এমবি মিনহাজ-২ নামের একটি ড্রেজার ও একটি অর্ধেক বালুভর্তি বাল্কহেড জব্দ করে পুলিশ।
শিবচরের চরজানাজাত নৌপুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে পদ্মা নদীতে যৌথ অভিযান চালাই। এসময় হাজরা চ্যানেল মুখে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিল একটি চক্র। আমরা ড্রেজার এবং বালুবাহী বাল্কহেড থেকে মোট আটজনকে আটক করি। এসময় ড্রেজার ও বাল্কহেড জব্দ করি। শিবচর থানায় এ বিষয়ে নৌপুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে যাতে কেউ বালু উত্তোলন করতে না পারে এ ব্যাপারে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪
আরএ