ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে গণপূর্তের সীমানাপ্রাচীর সংস্কার কাজে অনিয়মে দুদকের অভিযান

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪
লক্ষ্মীপুরে গণপূর্তের সীমানাপ্রাচীর সংস্কার কাজে অনিয়মে দুদকের অভিযান

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে গণপূর্ত অধিদপ্তরের একটি সীমানাপ্রাচীর সংস্কার কাজে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। অনিয়মের খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

 

প্রাথমিকভাবে অনিয়ম দেখা গেলেও গণপূর্ত কর্মকর্তারা অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেন।  

জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর গণপূর্ত বিভাগের ভেতরে স্টাফ কোয়ার্টারের সীমানাপ্রাচীর ও অফিস সংস্কারের কাজ পায় বেলাল হোসেন ও সেলিম নামে দুইজন ঠিকাদার। সীমানাপ্রাচীরে সংস্কারর ব্যয় ধরা হয়েছে সাত লাখ টাকা, আর অফিস সংস্কারের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ লাখ টাকা।  

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অনিয়মের মাধ্যমে এ দুটি কাজ করে যাচ্ছে এমন অভিযোগ গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে দুদকের নজরে আসে। পরে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুদক চাঁদপুর জেলা কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। এনফোর্সমেন্ট টিমের উপস্থিতিতে নিরপেক্ষ প্রকৌশলী কাজের গুণগতমান যাচাই করলে অপরিচ্ছন্ন দেয়ালের ওপরে প্লাস্টারিং করার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুদকের কর্মকর্তারা।  

দুদকের অনিয়মের তদন্ত চলাকালীন গণপূর্ত বিভাগের বিভাগীয় উপ-প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন উপস্থিত ছিল। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীরা অনিয়মের বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি তো কোনো অনিয়ম দেখতেছি না। তাছাড়া ওনারা (দুদক) আসছেন, দেখতেছেন।

এদিকে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গণপূর্ত বিভাগের কর্তাদের সঙ্গে আঁতাত করে কাজে অনিয়ম করে যাচ্ছেন। ফলে তাদের নাকের ডগায় এমন অনিয়ম হলেও তারা এগুলো দেখছেন না।  

এ বিষয়ে দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়, গণপূর্ত অধিদপ্তর লক্ষ্মীপুর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন একটি সীমানাপ্রাচীর সংস্কার কাজে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন জেলা কার্যালয় চাঁদপুর থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। এনফোর্সমেন্ট টিমের উপস্থিতিতে নিরপেক্ষ প্রকৌশলী কাজের গুণগতমান যাচাই করলে অপরিচ্ছন্ন দেয়ালের ওপরে প্লাস্টারিং করার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। সংস্কার কাজটি চলমান থাকায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে তদারকিপূর্বক ঠিকাদারের কাছ থেকে কাজ বুঝে নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে লক্ষ্মীপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আক্তার হোসেনের মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।