ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রাতের আঁধারে বাগান থেকে ৪০০ মণ বরই লুটের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪
রাতের আঁধারে বাগান থেকে ৪০০ মণ বরই লুটের অভিযোগ

শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে দলিলউদ্দিন খান (৬০) নামে এক চাষির সাড়ে তিন একর জমির অন্তত চারশ মণ বরই দুর্বৃত্তরা লুটে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ ওই চাষির।

 

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে চাষি দলিলউদ্দিন খান গোসাইরহাট থানায় লিখিত একটি অভিযোগ করেছেন। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুস্পেন দেবনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের ছোট কালিনগর এলাকার কৃষক দলিলউদ্দিন খান দুই বছর ধরে তার চার ছেলেকে নিয়ে হলইপট্টি এলাকায় প্রায় সাড়ে তিন একর জমি লিজ নিয়ে বলসুন্দর, আপেল ও থাই জাতের বরই চাষ করে আসছেন। সঠিক পরিচর্যায় এ বছর ব্যাপক ফলন হয় বাগানে। এরই মধ্যে তিনি বাগান থেকে ১০ লাখ টাকার বরই বিক্রি করেছেন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আরও প্রায় ১০ লাখ টাকার বরই বিক্রির সম্ভাবনা ছিল।  

সম্প্রতি বাগানের পাশের বাড়ির ফারুক সরদারের সঙ্গে তার ঝগড়া হলে গত ১১ ফেব্রুয়ারি ফারুক বাদী হয়ে দলিলউদ্দিন ও তার চার ছেলেসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তারের ভয়ে ১২ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত পর্যন্ত তারা সবাই পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। এই সুযোগে দুর্বৃত্তরা দুই রাতে তার বাগানের প্রায় ৪০০ মণ বরই ও মাল্টা ছিঁড়ে নিয়ে যায় এবং কিছু গাছ ভেঙে ফেলে।

ওই চাষির অভিযোগ, সার ও ওষুধ কোম্পানি থেকে ঋণ নিয়ে বাগান করায় ঋণের বোঝায় জর্জরিত হয়ে পড়ার আশঙ্কায় পড়েছেন তিনি।

দলিলউদ্দিন খান বলেন, আমি জায়গা-জমি বিক্রি করে ঋণ তুলে চার ছেলেকে নিয়ে তিলে তিলে বাগানটি গড়ে তুলি। প্রথম বছর লাভের মুখ দেখে এ বছর বাগানের জায়গা বাড়াই। আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো ফলন হয়েছিল। কিন্তু একটি চক্র শত্রুতা করে আমার ফলগুলো সব লুটে নিয়ে আমাকে পথে বসিয়ে দিয়েছে। আমি দোষীদের বিচার চাই।

গোসাইরহাট থানার ওসি পুষ্পেন দেবনাথ বলেন, এ ঘটনায় আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। কেউ অপরাধ করে থাকলে আইনের আওতায় আনা হবে।

এদিকে ১১ ফেব্রুয়ারির মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সেদিন বিকেলে উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বেরচর গ্রামে বেবী বেগম (২৮) নামে নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারী হামলার শিকার হন। এসময় ওই নারীর ভাসুর ফারুক সরদার (৩৫), জা জোসনা বেগম (৩০) ও ননদ ফাতেমা বেগমও (২৭) হামলার শিকার হন।  

ওই মামলায় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।