ঢাকা: রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয় নিরাপত্তাকর্মীর কাজ করতেন মো. সাগর (১৮)। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে ওই রেস্টুরেন্টে লাগা আগুনে পুড়ে মারা যান তিনি।
সাগরের বাড়ি পাবনার ফরিদপুর উপজেলার ধানুয়াঘাটে। শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তার মরদেহ শনাক্ত করেন চাচাত ভাই মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, একটি নিরাপত্তা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করত সাগর। তার ডিউটি ছিল বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয়। সকালে মর্গে এসে দেখলাম সাগরের মরদেহ পড়ে আছে। গায়ে সিকিউরিটির পোশাক। তার শরীর বেশি পুড়ে যায়নি, মনে হয় ধোয়ায় শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা গেছে।
মর্গের সামনে অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা সাগরের আরেক চাচাত ভাই আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, সাগরের নিতে ইতোমধ্যে পাবনা আসছে তার পরিবার। ইতোমধ্যে তারা গাবতলী পর্যন্ত পৌঁছেছে। তার পরিবার ঢাকা মেডিকেলে পৌঁছানোর পর মরদেহ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করব।
তিনি আরও বলেন, আমার বাড়ি শান্তিনগর এলাকাতেই। রাত সাড়ে দশটায় আগুন দেখে ওইখানেই ছিলাম। ভাবিওনি আমার ভাই ওই ভবনের ভেতর মারা যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বেইলি রোডের বহুতল ভবনটিতে আগুন লাগে। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জন মারা গেছেন। আহত হয়ে ঢামেক ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন ১২ জন। তারা কেউই এখনো শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২৪
এসসি/ ইএসএস