ঢাকা, বুধবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বেইলি রোড ট্র্যাজেটি

নিহত অভিশ্রুতিকে মেয়ে বলে দাবি শাবলুল আলমের  

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২৪
নিহত অভিশ্রুতিকে মেয়ে বলে দাবি শাবলুল আলমের   নিহত অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ও তাকে মেয়ে দাবি করা শাবলুল আলম সবুজ

ঢাকা: রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর পারিবারিক পরিচয় নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে।  

নিজেকে অভিশ্রুতির বাবা দাবি করেছেন শাবলুল আলম সবুজ নামের এক ব্যক্তি।

অভিশ্রুতি শাস্ত্রী মুসলিম ছিলেন বলেও দাবি তার।

এমন পরিস্থিতিতে পারিবারিক পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় অভিশ্রুতির মরদেহ হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। যে কারণে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের মর্গে পড়ে আছে তার নিথর দেহ।  

শুক্রবার (১ মার্চ) বিকেলে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে এসে শাবলুল আলম সবুজ জানান, তিনি মেয়ের মরদেহ গ্রহণ করতে এসেছেন।  

এসময় তিনি বলেন, অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর আসল নাম বৃষ্টি খাতুন। তার মায়ের নাম বিউটি বেগম। আর অভিশ্রুতি ইসলাম ধর্মের অনুসারী। অভিশ্রুতি আমার মেয়ে। আমার তিন মেয়ের মধ্যে বড় সে। আমার আরও দুটি মেয়ে রয়েছে। নিজের মেয়েকে নিয়ে কেন মিথ্যা বলব?

যদিও চাকরির প্রয়োজনে দেওয়া বায়োডাটায় দেখা যায় নিহতের নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। বাবার নাম অভিরূপ শাস্ত্রী আর মায়ের অপর্ণা শাস্ত্রী। বর্তমান ঠিকানা লিখেছে সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, মৌচাক।

তবে অভিশ্রুতি জাতীয় পরিচয় পত্র থেকে দেখা গেছে তার নাম বৃষ্টি খাতুন এবং বাবার নাম সবুজ শেখ আর মায়ের নাম বিউটি বেগম।

আর এতেই এখন শাস্ত্রীর পরিচয় নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা।  

নিহত অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র

এ বিষয়ে সবুজ বলেন, আমার মেয়ে মুসলিম এবং তার নাম বৃষ্টি। আমার মেয়ে মৌচাকে একাই থাকত। তার সনাতন ধর্মের অনুসারী বন্ধুবান্ধব ছিল অনেক। তাদের সঙ্গে ওর ওঠাবসা ছিল। কিন্তু এখন সবাই বলছে আমার মেয়ে নাকি নিজেকে হিন্দু ধর্মের অনুসারী হিসেবে সবার কাছে পরিচয় দিয়েছে।  

এদিকে রমনা কালি মন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা জানান, গত আট মাস ধরে তার সঙ্গে আমাদের পরিচয়। এই আট মাসে অভিশ্রুতি আমাদের মন্দিরের সঙ্গে অনেকটাই কানেক্টেড। যে ভদ্রলোক (সবুজ) অভিশ্রুতিকে নিজের মেয়ে বলে দাবি করছেন তিনি মিথ্যা কথা বলছেন। অভিশ্রুতির পরিবারের সবাই ভারতের বানারসে থাকেন।  

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে বেইলি রোডের ওই ভবনে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন>> বেইলি রোডে আগুনে মারা গেলেন সাংবাদিক অভিশ্রুতি

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২৪
এমএমআই/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।