ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

৬ বছরের প্রেম, মালয়েশিয়ান তরুণীকে বিয়ে করলেন বাংলাদেশি যুবক 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২৪
৬ বছরের প্রেম, মালয়েশিয়ান তরুণীকে বিয়ে করলেন বাংলাদেশি যুবক  বাংলাদেশি যুবক রিয়াজ উদ্দিন ও মালয়েশিয়ান তরুণী নুর আজিরা বিনতে আজহার

লক্ষ্মীপুর: ছয় বছরের প্রেমের পরিণতি দিলেন বাংলাদেশি যুবক রিয়াজ উদ্দিন ও মালয়েশিয়ান তরুণী নুর আজিরা বিনতে আজহার।

শুক্রবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আবিরনগর এলাকার বাসায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন এ যুগল।

এসময় এলাকার গণ্যমান্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন। ওই এলাকার কাজী মোহাম্মদ আলী বেলাল এ বিয়ে পড়িয়েছেন। বিয়ের দেনমোহর ছিল দুই লাখ টাকা।  

বর রিয়াজ লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আবিনগর এলাকার সাবেক সহকারী সাব-রেজিস্ট্রার জামাল উদ্দিনের ছেলে।  

কনে আজিরা মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের আজহা বিন হোসাইন ও নুর আসিকিন বিন আরেফিন দম্পতির মেয়ে।  

রিয়াজের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ৯ বছর আগে মালয়েশিয়ায় যান তিনি। এরমধ্যে ৬ বছর আগে একদিন আজির একটি ফ্যাশন ডিজাইনের প্রতিষ্ঠানে ক্লাস করার জন্য আসেন। পাশেই রিয়াজের দোকান ছিল। ওই ফ্যাশন ডিজাইনের ক্লাসে আসা-যাওয়ার পথে তাদের দুইজনের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রণয় ঘটে। আজিরা তার মাকে রিয়াজের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি জানায়।  

রিয়াজ জানান, শুরুতে আজিরার বাবা একটু মনক্ষুণ্ন ছিলেন। তবে পরে রিয়াজের সঙ্গে তার শ্বশুর আজহার ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের সম্পর্ক এখন বন্ধুর মতো।  

কনে নুর আজিরা বিনতে আজহা বলেন, বাংলাদেশি মানুষ খুবই দারুণ এবং শ্রদ্ধাশীল। আমি রিয়াজকে অনেক বেশি ভালোবাসি। কারণ সে খুব ভদ্র স্বভাবের ও অনেক সুন্দর।

তিনি বলেন, আমার শ্বশুর-শাশুড়ি আমাকে মেয়ের মতো গ্রহণ করেছেন। তাদের সঙ্গে ৪ দিন ছিলাম। আমি আমার পরিবারের মতোই তাদেরকে অনুভব করেছি।  

রিয়াজ উদ্দিন বলেন, আজিরা মালয়েশিয়ায় আমাদের দেশের নামে খারাপ কিছু শুনেছে। তবে উড়োজাহাজে এক বাঙালির উপকারে সে মুগ্ধ হয়ে পড়েছে। বিমানবন্দরে তাকে সংশ্লিষ্টরা আমাদের দেশে স্বাগত জানিয়েছে। এসব বিষয়ে আজিরা খুবই খুশি। আজিরা এখন বাংলাদেশিদের সম্মান করে। আমি এক বছর দেশে আছি। এরমধ্যে আজিরা আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকবে। তাকে একবারে দেশে আনার জন্য মালয়েশিয়ার দূতাবাসসহ বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হবে।

আজিরার সম্পর্কের রিয়াজ বলেন, আজিরার কোনো ছেলে বন্ধু নেই, এজন্যই আমি তাকে বেশি ভালোবাসি। আর মালয়েশিয়াতে আমি অনেক ধরনের মেয়ে দেখেছি। কিন্তু আজিরার মতো কাউকে পাইনি। আজিরা খুব ভালো মনের নারী।  

রিয়াজের বাবা জামাল উদ্দিন বলেন, রিয়াজ আমার ছোট ছেলে। ধুমধাম করে বিয়ের আয়োজন করতে চেয়েছি। কিছু জটিলতার কারণে তা সম্ভব হয়নি। তবে আগামী শুক্রবার ছোট করে অনুষ্ঠান করা হবে। আজিরার স্বজনরা আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কাগজপত্রের জটিলতার কারণে আপাতত আসতে পারবেন না। এ বিয়েতে আমরা পুরো পরিবারই আনন্দিত।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২৪
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।