ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

৬ মাসেও পুনর্নির্মাণ হয়নি ইন্দুরকানীতে ভেঙে পড়া ব্রিজ, মানুষের দুর্ভোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫১ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৪
৬ মাসেও পুনর্নির্মাণ হয়নি ইন্দুরকানীতে ভেঙে পড়া ব্রিজ, মানুষের দুর্ভোগ

পিরোজপুর: পিরোজপরের ইন্দুরকানীর ঘোষেরহাট বাজার সংলগ্ন খালের ওপর গার্ডার ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় গত ছয় মাস ধরে ইন্দুরকানী-বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আমজাদ হোসেন বলেন, গত ছয় মাস ধরে ওই ব্রিজের পূর্ব পাশের অংশ ভেঙে পড়ে থাকলেও কোনো সংস্কার করার উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

ব্রিজের মালামাল এখনও খালের মধ্যে পড়ে থাকায় খাল থেকে নৌকা, ট্রলারসহ কোনো ধরনের নৌযান চলাচল করতে পারছে না।  

তিনি আরও বলেন, ঘোষেরহাট বাজারে জেলাসহ উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী বাগেরহাটের মােড়লগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার ক্রেতা-বিক্রেতা তাদের বিভিন্ন মালামাল ক্রয় ও বিক্রি করতে এখানে আসেন। ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় সড়ক ও নৌপথে চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানায়, ২০০১ সালে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। সিডরে বিধ্বস্ত হওয়ার পরেও স্থানীয়ভাবে সংস্কার করে ওই ব্রিজ দিয়ে চলাচল করা হতো। সরকারিভাবে মেরামত না করার কারণে এটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ভেঙে যাওয়ার পরে স্থানীয় লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করেন। ব্রিজটি দিয়ে মোড়েলগঞ্জ উপজেলার চরহোগলাবুনিয়া, হোগলাবুনিয়া, বাড়ৈখালী, খেজুরতলাসহ বিভিন্ন রুটের চলাচলের একমাত্র পথ। এখানে দৈনিক হাজার হাজার ইজিবাইক, রিকশা, মোটরসাইকেল চলাচল করে। ব্রিজটি বাজারের পার্শ্বে হওয়ায় এটি ভেঙে যাওয়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও জনসাধারণের চলাচলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয় শহিদুল আলম জানান, ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় ছোট ছেলে-মেয়েদের বিদ্যালয় যেতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। ব্রিজটি না থাকার কারণে মালামাল নেওয়ার জন্য প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরে এসে বাজার করতে হয় ।

বাজার কমিটির সভাপতি মাকিত শিকদাক জানায়, ব্রিজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় অতিশীঘ্রই এটি পুনর্নির্মাণ করা প্রয়োজন। ৯৫ ফুট দৈর্ঘ্যের ব্রিজটি স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সংস্কার করা সম্ভব নয়।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাসুদ করীম ইমন তালুকদার বলেন, এ বিষয়ে বার বার উপজেলা পরিষদসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে জানানো হলেও সংস্কার বা পুনঃনির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। ফলে স্থানীয়দের চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।   

উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী লায়লা মিথুন জানায়, গ্রামীণ অবকাঠামো রাস্তার মাথায় ব্রিজটি হওয়ায় কোনো প্রকল্পই পুনর্নির্মাণ বা সংস্কার করার জন্য বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হয়নি। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। জরুরি ভিত্তিতে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ব্রিজটি স্থানীয়ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫১ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।