ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মেট্রোরেল ডিপোতে সাড়ে ৭ হাজার বর্গফুট ক্যান্টিনের ভাড়া এক হাজার টাকা! 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৪
মেট্রোরেল ডিপোতে সাড়ে ৭ হাজার বর্গফুট ক্যান্টিনের ভাড়া এক হাজার টাকা! 

ঢাকা: ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) উত্তরা মেট্রোরেল ডিপোতে অবস্থিত ৭৫৮০ বর্গফুট স্টাফ ক্যান্টিন পরিচালনার জন্য ভাড়া দেওয়া হয়েছে মাত্র এক হাজার টাকায়।  

গত বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ডিএমটিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (স্টোর ও প্রকিউরমেন্ট) মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভাড়া হিসেবে মাসিক এক হাজার টাকা হারে এক বছরের জন্য ভ্যাট ও আয়কর ব্যতীত সর্বমোট ১২ হাজার টাকা মূল্যে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের আওতায় পরিচালনাধীন এমআরটি লাইন-৬ এর উত্তরা ডিপোতে অবস্থিত ৭৫৮০ বর্গফুট স্টাফ ক্যান্টিন পরিচালনার উদ্দেশ্যে ১ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে দাখিলকৃত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খন্দকার এন্টারপ্রাইজের দরপত্রটি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃক গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়েছে।

এই নোটিশ জারি করার সাত দিনের মধ্যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে তিন বছরের জন্য চুক্তি সম্পাদন করতে সম্মত রয়েছেন মর্মে লিখিতভাবে জানানোর আহ্বান করা হয় ডিএমটিসিএলের বিজ্ঞপ্তিতে। এছাড়াও কার্য সম্পাদন জামানত হিসেবে তিন লক্ষ টাকা আগামী ২৮ মার্চ জমা দিতে বলা হয়।

ভাড়ার বিষয়ে ডিএমটিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (স্টোর ও প্রকিউরমেন্ট) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এটা ওপেন টেন্ডার হয়েছে। টেন্ডারের মাধ্যমে এটা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এই সব পক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।

ভাড়ার বিষয়টি অসামঞ্জস্যপূর্ণ কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, চার মাস আগের ঘটনা এখন কেন জিজ্ঞাস করছেন? 

সাড়ে ৭ হাজার নয়, ক্যান্টিনটি ১ হাজার বর্গফুট দাবি করে তিনি বলেন, ডকুমেন্টস না দেখে কথা বলেন কেন?

তবে গত জানুয়ারির এক তারিখের টেন্ডার আবেদনের বিজ্ঞপ্তিতেও সাড়ে ৭ হাজার বর্গফুট জায়গার কথা উল্লেখ করা আছে।  

মেট্রোরেলে ডিপোতে কর্মরত কয়েজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ডিপোতে তিন শিফটে কাজ হয়। গড়ে ১৫০ জনের মত কর্মকর্তা-কর্মচারী ডিপোতে কাজে থাকেন। এছাড়া ডিপোতে কর্মীদের কর্মদক্ষতা উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মশালারও আয়োজন হয়ে থাকে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই ক্যান্টিনে খাবারের দাম কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দেবে এবং ক্যান্টিনে রান্নাবান্নার কাজ করা যাবে না, ক্যাটারিং সার্ভিস দিতে হবে এমন সব শর্তে কোনো ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ক্যান্টিনের দায়িত্ব নিতে আগ্রহী ছিল না। ফলে তৈরি হওয়ার পর দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও ক্যান্টিন চালু করা যায়নি।

বাংলাদেশ সময় ১১১৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৪
এনবি/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।