ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জবির সেই শিক্ষার্থী-অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৪
জবির সেই শিক্ষার্থী-অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ

ঢাকা: শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ দেওয়ায় হত্যাসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও দুই শিক্ষককে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিবি কার্যালয়ে অভিযোগকারী ছাত্রী ও অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়।

শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ দেওয়ায় হত্যাসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি পাচ্ছেন বলে অভিযোগ জবির ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মীমের।

আতঙ্কিত হয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে শিক্ষক আবু শাহেদ ইমন ও বিভাগের চেয়ারম্যান জুনায়েদ আহমেদ হালিমের বিরুদ্ধে সোমবার বিকেলে ডিবি কার্যালয়ে অভিযোগ দেন এ শিক্ষার্থী।

ডিবি সূত্র জানায়, ছাত্রীর করা অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা দুই শিক্ষক ছাড়াও অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যদের ডাকা হয়েছে।

অভিযোগ দেওয়ার পর সোমবার ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মীম বলেন, আমার বিভাগের শিক্ষক আবু সাহেদ ইমন আমাকে যৌন হেনস্তা করেছেন। এই অভিযোগ দেওয়ার পর থেকে বিভাগের চেয়ারম্যান জুনায়েদ আহমেদ হালিম ও অভিযুক্ত শিক্ষক আবু সাহেদ ইমন আমাকে সেটি তুলে নিতে নানাভাবে চাপ দিতে থাকেন।

তিনি বলেন, আমি অভিযোগ তুলে নিতে রাজি না হওয়ায় তারা আমাকে হাত-পা কেটে হত্যা করাসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেন। আমাকে একঘরে করে দেওয়া হয়। আমাকে বিভিন্ন পরীক্ষায় শূন্য শূন্য নম্বর দিয়ে ফেল করানো হয়। আমার অনার্সের ফাইনাল ভাইভায় আমাকে ফেইল করানো হয়।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, জবি শিক্ষার্থী মীম সোমবার একটি অভিযোগ করেছেন। এর ভিত্তিতে আমাদের সাইবারের একটি টিম কাজ করছে। অভিযোগকারী মীমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে, আমরা জবি ভিসির সঙ্গে কথা বলেছি। ভিসি অনেক কথা বলেছেন, অভিযোগের অনেক বিষয়ের অনেককিছুই আমাদের হাতে নেই।

তিনি বলেন, প্রশাসনিক বিষয়গুলো আমরা সমাধান করতে পারব না, তাকে কেন বারবার ফেল করানো হচ্ছে সেগুলো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দেখবে। তবে তাকে আটকে রাখা বা হুমকি দেওয়ার বিষয়গুলো আমরা তদন্ত করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৪
পিএম/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।