কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় পর্যটকবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় নারী, পুরুষ, শিশুসহ আটজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
শনিবার (২৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাদেরকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
এ দিকে নদীর পাড়ে ভোর থেকে নিখোঁজদের সন্ধানে অপেক্ষা করছেন স্বজনরা। কোন সময় মিলবে সন্ধান। অপেক্ষা করছে কারো বাবা, কারো ছেলে, কারো মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন। স্বজনহারা মানুষদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠছে মেঘনার তীর।
কথা হয় নিখোঁজ কলেজ শিক্ষার্থী অনিমিকার মামা লৎফুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার ভাগনি নরসিংদী থেকে বেড়াতে এসেছিল। গতকাল বিকেলে তার বান্ধবীকে নিয়ে ট্রলারে করে ঘুরতে বের যায়। তাদের নৌকাকে বালুবাহী বাল্কহেডে ধাক্কা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ট্রলারটি পানির নিচে তলিয়ে যায়। এরপর থেকে তাদের সন্ধান পাচ্ছি না।
নিখোঁজ বেলন দে’র দুলাভাই পবির দে বলেন, আমাদের সাতজন আত্মীয় ডুবে যাওয়া নৌকায় ছিল। তাদের মধ্যে চারজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমার শালক বেলন দে, আরাধ্যা দে ও রূপা দে নামে নালীকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। চার ঘণ্টা অতিবাহিত হলে তাদের সন্ধান মিলছে না।
কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, সকাল সোয়া ৮টার দিকে আমাদের ফায়ার সার্ভিসের চার সদস্যের একটি ডুবরি দল নদীর তলদেশে তল্লাশি করছে। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজদের খবর পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন:
মেঘনায় ট্রলারডুবি: সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ ৮ জনের
মেঘনায় ট্রলারডুবিতে নিহত ১, কনস্টেবলসহ নিখোঁজ ৬
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২৪
এসএম