ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অধ্যক্ষের কক্ষের তালা খুলে দেওয়ায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বর্জন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২৪
অধ্যক্ষের কক্ষের তালা খুলে দেওয়ায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বর্জন

নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সৈয়দপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে ছাত্রলীগের দেওয়া তালা খুলে দেওয়ার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে দিবসটির অনুষ্ঠান শুরু হলে নেতাদের অনুপস্থিত দেখা যায়। অনুষ্ঠানে কুচকাওয়াজ ও মার্চ পাস্টে সালাম গ্রহণ করেন সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আজমল হোসেন।  

এ সময় ইউএনও মুহাম্মদ ইসমাঈল, সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ মার্চের অনুষ্ঠানে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান না দেওয়ার অভিযোগ তুলে কয়েক দিন ধরে সৈয়দপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে ছাত্রলীগ। এরই ধারাবাহিকতায় গত রোববার অধ্যক্ষের অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পরে গত সোমবার ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চত্বরে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইসমাঈল অধ্যক্ষ, শিক্ষক, ছাত্রলীগ ও স্থানীয় সুধীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে অধ্যক্ষের কক্ষের তালা খুলে দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত স্থানীয় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণপত্র পেয়েও যোগ দেননি।

সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক জানান, সৈয়দপুর সরকারি কলেজের জামায়াত পন্থি অধ্যক্ষ ড. আতিউর রহমানকে সহযোগিতা করেছেন ইউএনও। কলেজের গত ৭ মার্চের অনুষ্ঠানে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান না দেওয়ায় সাধারণ ছাত্ররা আন্দোলন করেন এবং কলেজ অধ্যক্ষের কক্ষে তালা দেন ছাত্রলীগ। ইউএনও সেই তালা খুলে দিয়ে জামায়াত পন্থি শিক্ষককে সহযোগিতা করেছেন। এরই প্রতিবাদে আমরা স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের উপজেলা প্রশাসনের আয়োজন বর্জন করেছি। তবে আমরা দলীয়ভাবে দিবসটি পালন করবো।  

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ ইসমাঈল জানান, বিষয়টি আমি জানি না। সরকারি কলেজ যেহেতু তালাবদ্ধ থাকতে পারে না, তাই তালা খুলে দিয়েছি। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে লিখিতভাবে জানালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে তালা খুলে দিয়েছি।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।