ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

তারাবির পর আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০২৪
তারাবির পর আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ প্রতীকী ছবি

মেহেরপুর: আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মেহেরপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ৭ জন আহত হয়েছেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সোমবার (১ এপ্রিল) রাত ৯ টার দিকে তারাবি নামাজ শেষে মুজিবনগর উপজেলার রাধাকান্তপুর গ্রামের স্কুল মাঠের পাশে এই সংঘর্ষ ঘটে।

নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর নেতাকর্মীদের মধ্যে এ  সংঘর্ষ ঘটে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

আহতরা হলেন - মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাঁধাকান্তপুর গ্রামের আবুল কাশেম মাস্টারের ছেলে শাহরিয়ার লিওন (৩৮), আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা আনসার আলীর ছেলে আরিফ হোসেন, পালু শেখের ছেলে মোছাব আলী, নজরুল ইসলাম, রেজাউল হকের ছেলে আনারুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম ও জামাই ফারুক হোসেন।

আহতদের উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ও মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি শাহরিয়ার লিওনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

আহত লিওনের পক্ষের কর্মী সুরজ আলী বলেন, তিন মাস আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। সেই নির্বাচনের জের ধরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনকে গ্রামের মসজিদ, ঈদগাহ ও গোরস্তানের কমিটি থেকে বাদ দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপির নেতাকর্মীরা। তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতে এসব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ট্রাক প্রতীকের স্থানীয় কর্মী সমর্থকদের নাম বাদ দিয়ে দিয়েছেন। তারা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করেছে।  

তিনি আরও জানান, তারাবি নামাজ শেষে শাহরিয়ার লিওনসহ অন্যান্যরা একটি দোকানে বসে ছিলেন। এসময় মহসিন আলীর ছেলে ভনা ও ফারুক, আমজাদ হোসেনের ছেলে সেলিম, রেজাউল হকের ছেলে রানা হোসেন ও জাহাঙ্গীর কিতাব আলীর ছেলে মিলটন, মোজাম্মেল হকের ছেলে হামিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে লিওনের সঙ্গে প্রথমে বাগবিতণ্ডা শুরু করে। পরে সংঘর্ষ বাধে। এসময় উভয় পক্ষের ৭ জন আহত হন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কনি মিয়া জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে সদর থানা ও স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের বিপুল পরিমাণ পুলিশ সেখানে পাঠানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। আর কোনো সংঘাত যেন না হয় সেজন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কেউ আটক হয়নি। কেউ অভিযোগও দেয়নি।

স্থানীয়রা জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জের শেষ হয়নি এখনো। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর কমিটির দখল নিতে বেশ কিছুদিন যাবৎ শুরু হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষের নেতাকর্মীদের মাঝে আধিপত্য বিস্তারের মহড়া। এই সংঘর্ষের পর এলাকায় নতুন করে আতঙ্ক শুরু হয়েছে ।

বাংলাদেশ সময়: ০১২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২৪
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।