চাঁদপুর: আর মাত্র কয়েকদিন পরেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। রমজানের শেষ সময়ে চাঁদপুর শহরের মার্কেটগুলোতে এখন ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।
শুক্রবার (০৫ এপ্রিল) সন্ধ্যার পরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা গেছে কাপড়ের দোকানে বেশী ভিড়। নারীদের অলংকার, ব্যাগ, আতর-টুপি ও জুতার দোকানে তুলনামূলক ক্রেতা কম। শহরের হাকিম প্লাজা, মীর শপিং কমপ্লেক্স ও সব ধরনের ক্রেতাদের পছন্দের রেলওয়ে হকার্স মার্কেট। তবে নারী ক্রেতারা বলছেন গত বছরের তুলনায় এবার শিশু ও নারীদের পোশাকের দাম বেড়েছে।
রেলওয়ে হকার্স মার্কেটের বেনারশী চয়েজ নামের দোকানে আসা ক্রেতা রোকেয়া বেগম বলেন, শিশুদের পোশাক কিনতে এসেছি। ঈদ উপলক্ষে দাম অনেক বেড়েছে। ওই দোকানের আরেক ক্রেতা রাজিয়া সুলাতানা বলেন, নারীদের পোশাকের দাম হাঁকা হচ্ছে অনেক বেশি। দুই হাজার টাকার নিচে ভাল কোনো জামা পাওয়া যাচ্ছে না।
দোকানের পরিচালক মো. মহসিন মিয়া বলেন, এ বছর মার্কেটে দেশি এবং বিদেশি উভয় পোশাকের চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে নারীদের থ্রি পিচ। এর মধ্যে পাকিস্তানি নারগা ও ভারতীয় রিধিকা পোশাকের চাহিদা বেশি।
একই মার্কেটের গাজী শাড়ি বিতানের পরিচালক হান্নান গাজী বলেন, এ বছর নারীদের পোশাকের মধ্যে পাকিস্তানি লোন এবং ভারতীয় ফোর পিচ নামে পোশাকর চাহিদা আছে। তবে ক্রেতারা এ বছর অধিকাংশ নিজেদের জন্য পোশাক ক্রয় করছেন। অন্যান্য বছরের নিজেদের পাশাপাশি অন্যদের উপহার দেওয়ার জন্য কিনতেন।
হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাফেজ জাকির হোসেন মৃধা বলেন, আমার নিজের লেদার ব্যবসা। তবে ঈদ উপলক্ষ্যে ওই পরিমাণ বিক্রি বাড়েনি। বাকি কয়দিন কি রকম ব্যবসা হয় বলতে পারছি না। তবে আমাদের মার্কেটে ক্রেতাদের সব ধরনের নিরাপত্তা রয়েছে। যে কারণে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে এবার।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম বলেন, চাঁদপুর শহরের মার্কেটগুলোতে ক্রেতারা ঈদের কেনাকাটায় সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। দিন ও রাতে আমাদের পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি শহরের সড়কগুলো যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ট্র্যাফিক পুলিশের পাশাপাশি স্কাউট সদস্যরা কাজ করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২৪
এসএম