ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ভুভুজেলা আর খেলনা বন্দুকে মেতেছে পুরান ঢাকার শিশুরা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৪
ভুভুজেলা আর খেলনা বন্দুকে মেতেছে পুরান ঢাকার শিশুরা

ঢাকা: ঈদের আনন্দে ভাসছে বাংলাদেশ। ব্যতিক্রম নয় রাজধানীর পুরান ঢাকাও।

এখানকার শিশু-কিশোররা ঈদের আনন্দে মেতেছে নাগরদোলা, ভুভুজেলা, খেলনা বন্দুক আর খেলনা ট্রেনে।  

চাঁদরাতেই পুরান ঢাকার মোড়ে মোড়ে বসে যায় খেলনা-সামগ্রীর ভ্রাম্যমাণ দোকান। এসব দোকানে বন্দুকের সংখ্যাই বেশি। পাশাপাশি রয়েছে ভুভুজেলা (বিশেষ এক ধরনের বাঁশি), খেলনা গাড়ি। এ ছাড়া কুকুর, বিড়াল কিংবা অন্যান্য প্রাণীর আকৃতি দিয়ে তৈরি খেলনাও এসব দোকানে থাকে।   

ঈদের দিন পুরান ঢাকার কলতাবাজার মোড়ে বেশ কয়েকটি দোকান দেখা যায়। এসব দোকানের সামনে বিভিন্ন বয়সী শিশুদের ভিড় চোখে পড়ে। খেলনা বন্দুকেই তাদের আগ্রহ। কাউকে কাউকে ভুভুজেলাও কিনতে দেখা যায়।

সূত্রাপুরের হাজী আব্দুল মজিদ লেন এলাকার এক বিক্রেতা জানান, ঈদসহ বড় বড় উৎসবে অনেক আগে থেকেই বাচ্চারা খেলনা বন্দুক-পিস্তল দিয়ে খেলে। এবার আরও বেশি কিনছে।

দোকানে থাকা খেলনা অস্ত্রের নাম ও ধরনভেদে দামও ভিন্ন। এসবের রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন নাম। যেমন- রকেট লঞ্চার, মেশিনগান, হ্যান্ড পিস্তল ইত্যাদি। পিস্তল ৫০ থেকে ১৫০ টাকা, বড় বন্দুক ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে।

কলতাবাজার ছোট মসজিদ মোড়ে বন্দুক কিনে খেলছিল কয়েকটি শিশু। তাদের মধ্যে সিয়াম ও শামীম জানায়, ঈদে বন্দুক বা পিস্তল দিয়ে খেলতে তাদের ভালো লাগে।  

এক বিক্রেতা জানান, এ বছর খেলনা বন্দুক বেশি কিনছে শিশুরা।  

বংশালে নাজিরাবাজার মোড়ে দেখা যায়, নাগরদোলা, জাম্পিং বোর্ড, খেলনা ট্রেনে খেলছে শিশুরা। সকাল থেকেই সেখানে ভিড় লেগে যায়।  

স্বত্বাধিকারী শামীম জানান, প্রতিবছর এখানে এ আয়োজন করে তারা। প্রতিটি রাইডে ৫০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। ভিড় রয়েছে।

আগের রাতের পর দিনেও বাসার ছাদে ও রাস্তায় সাউন্ড সিস্টেমে গান বাজিয়ে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে দেখা যাচ্ছে শিশু-কিশোরদের। কাউকে কাউকে ট্রাক-পিকআপ এবং টমটমে করে দল বেঁধে সাউন্ড সিস্টেম বাজিয়ে ঘুরে বেড়াতেও দেখা যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা
এমআইএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।