ঢাকা: রাজধানীর ভাষানটেক কালভার্ট রোডে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ হওয়া শিশু লামিয়া (৭) মারা গেছে। শরীরের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে ছিল সে।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছে লামিয়ার বড় বোন ও ভাই।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ভাষানটেকের ঘটনায় দগ্ধ লামিয়া আজ (শুক্রবার) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মারা গেছে। তার শরীরের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এর আগে তার মা সূর্য বানু (৩০), বাবা লিটন (৪৮) ও নানী মেহেরুন্নেছা (৮০) মারা গেছেন।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় লামিয়ার বড় বোন লিজা (১৮) ৩০ শতাংশ দগ্ধ ও ভাই সুজন (৮) ৪৩ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি আছেন। তাদের অবস্থাও গুরুতর।
এর আগে, গত শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ভাষানটেক নতুন বাজার কালভার্ট রোডের ৪/১৩ নম্বর বাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাতে দগ্ধ হন মো. লিটন, তার স্ত্রী সূর্য বানু, তাদের ৩ সন্তান লিজা, লামিয়া, সুজন ও লিটনের শাশুড়ি মেহরুন্নেছা।
তাদের প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া ময়না বেগম জানান, পরিবার নিয়ে কালভার্ট রোডের দুই তলা বাড়িটির নিচ তলায় ভাড়া থাকেতেন লিটন। এলাকাতেই ফার্নিচার ব্যবসা আছে তার। রাতে ওই বাসায় সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরে লিটন মশার কয়েল জালানোর জন্য দিয়াশলাই জালাতেই আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে পরিবারটির ছয়জনই দগ্ধ হন।
তিনি জানান, বাসাটিতে গ্যাস দিয়ে রান্না করতেন তারা। সবাই ধারণা করছেন, গ্যাসের লিকেজের কারণে বাসায় গ্যাস জমে ছিল। মশার কয়েলের জন্য দিয়াশলাই জালাতেই সেই গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
এজেডএস/এফআর