ঢাকা: পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে যেসব দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, সব ধরনের প্রভাবমুক্ত থেকে দুদককে সেসব অভিযোগ সম্পর্কে সঠিক অনুসন্ধান করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান। সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
গোলাম রহমান বলেন, ‘পত্রিকা বা গণমাধ্যম অবশ্যই দুর্নীতি দমনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরাও বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধান করেছি। আমি দায়িত্ব পালনকালে দুদকে যেসব অনুসন্ধান হয়েছে বিশেষ করে হলমার্ক, ইউনিপে-টু-ইউ, ডেসটিনি—এগুলোর বেশির ভাগই হয়েছে পত্রিকার রিপোর্টের ভিত্তিতে। ’
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অস্বাভাবিক সম্পদ অর্জনের বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর সোমবার এসব অভিযোগ অনুসন্ধানে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে দুদক। এ ক্ষেত্রে দুদকের করণীয় বিষয়ে জানতে চাইলে দুদকের সাবেক এই চেয়ারম্যান বলেন, ‘সব অনুসন্ধান আইনানুগভাবে হওয়া উচিত। প্রভাব-প্রতিপত্তির ঊর্ধ্বে উঠে নিরপেক্ষভাবে অনুসন্ধান হওয়া জরুরি। আইনানুগভাবে এবং পক্ষপাতিত্বমুক্ত থেকে অনুসন্ধান করা গেলে সত্য প্রকাশিত হবেই। ’
তিনি বলেন, ‘তদন্তের আগে এখনই বলা যাবে না তিনি (সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ) দুর্নীতি করেছেন। তবে তদন্তে দুর্নীতি ধরা পড়লে বলা যাবে তিনি দুর্নীতি করেছেন। দুর্নীতি প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে দুর্নীতিপরায়ণ বলা ঠিক নয়। দুর্নীতি প্রমাণের বেশ কিছু পদ্ধতি আছে। দুদক আইনানুগ প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষ থেকে বিষয়টি দেখবে, এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা। ’
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ প্রভাবশালী একজন ব্যক্তি, এতে অনুসন্ধানপ্রক্রিয়া ব্যাহত হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে গোলাম রহমান বলেন, ‘আইন সবার জন্য সমান। তিনি যতই প্রভাবশালী হোন না কেন, দুদকের কাজ হবে রাগ-বিরাগ বর্জন করে অনুসন্ধান করা। অনুসন্ধান করে প্রকৃত সত্য বের করে আনা। ’
এ বিষয়ে দুদক কর্মকর্তাদের প্রতি কোনো পরামর্শ আছে কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দুদক কর্মকর্তারা তাঁদের নির্ধারিত আইন অনুযায়ী অনুসন্ধান করবেন বলেই প্রত্যাশা করছি। একটা অভিযোগ এসেছে, এর অর্থ এই নয় যে তিনি অন্যায় করেছেন। এটা পরিষ্কার, দুদক রাগ-বিরাগ বর্জন করে আইন অনুযায়ী বিষয়টির অনুসন্ধান করবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৪
এমজেএফ