ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোড়কে বিষাক্ত শিশু খাদ্য তৈরি-বিক্রি, গ্রেপ্তার ৬

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪০ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২৪
বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোড়কে বিষাক্ত শিশু খাদ্য তৈরি-বিক্রি, গ্রেপ্তার ৬

ঢাকা: নামি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোড়কে বিষাক্ত ক্যামিকেল দিয়ে শিশু খাদ্য, ভেজাল কোমল পানীয় ড্রিংকো, ফ্রুটো, ম্যাংগো জুস তৈরি ও নকল টেস্টি স্যালাইন তৈরি চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ।

গ্রেপ্তাররা হলেন- শিশু খাদ্য তৈরি কারখানা মালিক মো. আনোয়ার হোসেন (৩৮), ডিলার শাহ নেওয়াজ খান (৩৩), বিপণনকর্মী মোরশেদুল ইসলাম (৫১), উৎপাদনকারী সবুজ মিয়া (২৩), উৎপাদনকারী মো. আরিফ (২৩) এবং নকল টেস্টি স্যালাইন তৈরি কারখানার মালিক হানিফ মিনা (৩০)।

মঙ্গলবার (৭ মে) গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর কদমতলী থানাধীন মোহাম্মদবাগে একটি ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ভেজাল শিশুখাদ্য, কোমল পানীয়সহ তৈরির বিভিন্ন কেমিক্যাল ও সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।

বুধবার (৮ মে) দুপুরে মিন্টু রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, অনুমোদনবিহীন বিষাক্ত ক্যামিকেল দিয়ে বোতলজাত কোমল পানীয় তৈরি এবং নামিদামি ব্যান্ডের মোড়ক ব্যবহার করে বাজারজাত করে শিশু-কিশোরসহ সাধারণ জনগণের জীবন হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। বাড়ির মালিক সিরাজের সহায়তায় গ্রেপ্তাররা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল।

গ্রেপ্তার আনোয়ার হোসেন এ কারখানার মালিক। তিনি ড্রিংকো, ফ্রুটো, ম্যাংগো জুস ২৫-৪০ শতাংশ কমিশনে লোভনীয় অফারে দেশের বিভিন্ন স্থানে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করতো। আনোয়ার গত ২ বছর ধরে অনুমোদনবিহীন ভেজাল শিশু খাদ্য নামিদামি ব্র্যান্ডের মোড়কে স্যাকারিন, পানি, আর্টিফিশিয়াল ফ্লেবার, মানহীন ক্যামিকেল দিয়ে অসাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল কোমল পানীয় ড্রিংকো, ফ্রুট, ম্যাংগো জুস তৈরি করছিল।

এছাড়া গ্রেপ্তার হানিফ মান নিয়ন্ত্রনহীন অদক্ষ জনবল দিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কোনো প্রকার অনুমোদন ও স্বীকৃত কেমিস্টবিহীন চিনি, গ্লুকোজ, মানহীন ক্যামিকেল দিয়ে ভেজাল টেস্টি স্যালাইন তৈরি করে বাজারজাত করে আসছিল।

ডিবিপ্রধান বলেন, ভেজাল পণ্য ফরিদপুর, চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করে। এসব ভেজাল খাদ্য তৈরির কাচাঁমাল ও লোগো রাজধানীর মিডফোর্ড এলাকা থেকে সংগ্রহ করত। গত কয়েকদিনে তীব্র দাবদাহে মানুষের মধ্যে পানীয়র চাহিদা বাড়ায় এ ধরনের ভেজাল কোমল পানীয় তৈরি বেড়ে যায় তাদের।  

ভেজাল খাদ্য ও নকল স্যালাইন সেবনের পর শরীরের বিভিন্ন ক্ষতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে ইলেকট্রোলাইট বের হয়ে যায়। তখন ইলেকট্রোলাইটেক ঘাটতি পূরণের জন্য স্যালাইন খাওয়া হয়। নকল স্যালাইন খেলে উল্টো ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি তৈরি হয়। ফলে কিডনি, হার্ট, লিভার ইত্যাদিতে ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যেতে পারে। এছাড়া মস্তিষ্ক, কিডনি ও হার্ট ড্যামেজের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২৪
পিএম/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।