ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মাদারীপুরে সেই ২ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৫ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৪
মাদারীপুরে সেই ২ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত তানজিলা আক্তার ও শহিদুল ইসলাম

মাদারীপুর: মাদারীপুরে পুলিশে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে তানজিলা আক্তার ও শহিদুল ইসলাম নামে সেই দুই পুলিশ কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।  

শনিবার (১১ মে) পুলিশ হেডকোয়ার্টার ও জেলা পুলিশ একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

 

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর এলাকার রবিদাসের ছেলে রতন দাসের কাছ থেকে পুলিশে নিয়োগ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ নেন তানজিলা আক্তার ও শহিদুল ইসলাম নামে দুই কনস্টেবল। এ ঘটনায় গত শুক্র ও শনিবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।  

জানা গেছে, রতন দাস একটি দোকানে কাজ করতেন। সেখানেই তার সঙ্গে পরিচয় হয় পুলিশ সদস্য তানজিলার। পরে পুলিশে নিয়োগের সময় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রতনের কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা নেন তানজিলা। বিশ্বাস অর্জনের জন্য তানজিলা নিজের স্বাক্ষর যুক্ত কমিউনিটি ব্যাংকের একটি চেক রতনকে দেন। এদিকে পুলিশে নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল দিলে চাকরি না হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েন ভুক্তভোগী রতন দাস। উপায় না পেয়ে অভিযোগ করেন পুলিশ সুপার (এসপি) বরাবর।  

চাকরি প্রত্যাশী রতন দাস বলেন, ‘আমাকে পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা নিয়েছেন তানজিলা আক্তার নামে এক পুলিশ। কিন্তু সে চাকরি দিতে পারেননি। পরে টাকা ফেরত চাইলে সে বিভিন্ন রকমের টালবাহানা শুরু করেন। আমার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সময় একটি চেকও দিয়েছিলেন। এরপরও বিভিন্ন অজুহাতে সে আমার টাকা ফেরত দিচ্ছেন না। এই ঘুষ নেওয়ার সঙ্গে শহিদুল নামে এক পুলিশও জড়িত। ’

এ ব্যাপারে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মনিরুজ্জামান ফকির জানান, অভিযুক্ত দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।