ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

শ্বশুরের মামলায় জেলে জামাতা, মেয়ের সংবাদ সম্মেলন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৬ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২৪
শ্বশুরের মামলায় জেলে জামাতা,  মেয়ের সংবাদ সম্মেলন

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থন নিয়ে জামাই মো. মহিন ও তার শ্বশুর আনল হকের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে।  

এর জের ধরে একটি ‘সাজানো’ ঘটনায় মামলা দিয়ে জামাইকে কারাগারে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরের বিরুদ্ধে।

 

বৃহস্পতিবার (২৪ মে) রাতে জেলা শহরের টাউন হলে সংবাদ সম্মেলন করে আনলের বিরুদ্ধে মেয়ে জেসমিন আক্তার এ অভিযোগ করেন।  

জেসমিন আক্তার বলেন, আমার স্বামী মহিন, ভাসুর ও দেবররা নির্বাচনে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আহসান উল্যা হিরণের (প্রতীক-আনারস) সমর্থক ছিলেন। কিন্তু আমার বাবা আনল হক উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান খালেদ সাইফুল্লাহর (প্রতীক-মোটরসাইকেল) পক্ষে কাজ করেন। এতে জামাই-শ্বশুরের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। এর জের ধরেই সাজানো ঘটনায় মামলা দিয়ে মহিনকে কারাগারে পাঠানো হয়। মহিনের সঙ্গে আরও তিনজন কারাগারে আছেন।

সংবাদ সম্মেলনে জেসমিনের শাশুড়ি নাছিমা আক্তার, ভাসুর নাছির উদ্দিন, স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু ছিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন।

মামলার বাদী এবং বিবাদীরা জেলার কমলনগর উপজেলার চর মার্টিন ইউনিয়নের উত্তর চারমার্টিন গ্রামের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।  

জেসমিন আরও বলেন, ৮ মে উপজেলা পরিষদের ভোট হয়। ওই দিন আমার বাবা ও স্বামী-ভাসুর-দেবরদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি ১৫ মে কমলনগর থানায় আমার স্বামী-ভাসুর-দেবরদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় উল্লেখ করেন ‘যৌতুকের জন্য মহিন আমাকে নির্যাতন করে ও বাবার বাড়িতে যেতে দিচ্ছে না’। ঘটনাটি মিথ্যা। বাবা আমার সংসার ভাঙতে চাচ্ছেন। চার বছর আগে পারিবারিকভাবে আমাদের বিয়ে হয়েছে। কখনো মহিন আমাকে নির্যাতন করেনি। যৌতুকও দাবি করেনি। আমি স্বামীর সংসার করতে চাই।  

জানা গেছে, জেসমিনের স্বামী মহিন, ভাসুর নাছির উদ্দিন (৩৪), মো. মনির (৩৮) ও মো. খোকন, আত্মীয় সবুজ (২৮) ও মো. কালুকে (২৬) আসামি করে আনল হক মামলা করেন। বিবাদীরা গত ১৯ মে আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত আসামি নাছির ও কালুকে জামিন দিয়ে বাকিদের কারাগারে পাঠান।  

আনল হক এ ব্যাপারে বলেন, নির্বাচন নিয়ে দ্বন্দ্বের ঘটনা মিথ্যা। আমাকে আসামিরা মেরেছে। আমি রক্তাক্ত জখম হয়েছি। এজন্য আমি তাদের নামে মামলা করেছি। আমার মেয়ে জেসমিন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। তারা মেয়েকে তাদের নিয়ন্ত্রণে রেখে দিয়েছে।  

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু ছিদ্দিক বলেন, আনল হক মামলায় যে ঘটনা উল্লেখ করেছেন, তা সত্য নয়। নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই কথা-কাটাকাটি হয়। আনল হকের সমর্থিত প্রার্থী বিজয়ী হওয়ায় তিনি এখন সাজানো ঘটনায় মামলা করেছেন। তিনি নিজের মেয়ের সংসারও ভাঙতে চান।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৪ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।