কক্সবাজার: সাতদিন বন্ধ থাকার পর বিকল্প পথে শুরু হয়েছে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল। কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ রুটের নাফনদীর নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে মিয়ানমার থেকে গুলিবর্ষণের ঘটনার পর আতঙ্কে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এ পথে চলাচলকারী নৌযান।
প্রথমদিন তিন শতাধিক যাত্রী সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফ আসেন।
আজ শুক্রবার (১৪ জুন) দুপুরে কক্সবাজার থেকেও খাদ্যসহ নানা পণ্যসামগ্রী নিয়ে ‘বার আউলিয়া’ নামে একটি জাহাজ ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ( এডিএম) মো. ইয়ামিন হোসেন জানান, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের নিরাপত্তায় গতকাল বৃহস্পতিবার টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন থেকে কিছুসংখ্যক লোক আসা-যাওয়া করেছে। আজ দুপুরে পণ্য ও লোকজন নিয়ে বার আউলিয়া নামে একটি জাহাজ কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে ছেড়ে যাবে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের জেটি ঘাট থেকে ৩টি ট্রলারযোগে বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যদের নিরাপত্তায় অন্তত তিন শতাধিক মানুষ টেকনাফের উদ্দেশে যাত্রা করেন। বিকাল ৩টার দিকে ট্রলারগুলো টেকনাফের মুন্ডারডেইল সাগর উপকূলে পৌঁছে। কিন্তু সাগরের প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে এসব ট্রলার থেকে লোকজনকে সরাসরি কুলে ওঠানো সম্ভব হচ্ছিল না। পরে কয়েকটি ডিঙি নৌকা করে তাদের কুলে আনা হয়।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, গত ৭ দিন বন্ধ থাকার পর বিকল্প পথে ট্রলার চলাচল শুরু হওয়ায় লোকজনের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।
উল্লেখ্য, প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে ১০ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস। তাদের খাদ্যসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্য ও মানুষ পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম নৌযান। টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে প্রতিদিনই দ্বীপের বাসিন্দারা যাতায়াত করেন ট্রলারে।
নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে মিয়ানমারের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে ট্রলার বা স্পিড বোট চলাচল করতে দিচ্ছে না।
গত ৫ জুন সেন্টমার্টিন থেকে নির্বাচনী সরঞ্জাম ও কর্মকর্তাদের বহনকারী নৌযানে গুলিবর্ষণ করা হয় মিয়ানমার থেকে। গুলিতে ট্রলারটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কেউ হতাহত হননি।
এরপর ৮ জুন পণ্যবাহী ট্রলারে গুলিবর্ষণ করা হয় মিয়ানমার থেকে। এমন পরিস্থিতিতে বন্ধ রাখা হয় সব ধরনের নৌযান চলাচল।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৪
এসবি/এসএএইচ