ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত ও কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়নে সরকারের নীতি সহায়তা প্রয়োজন’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২১ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০২৪
‘নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত ও কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়নে সরকারের নীতি সহায়তা প্রয়োজন’

নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ এবং রেস্তোরাঁ শিল্পের কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়নে সরকারের নীতি সহায়তা চান এই খাতের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা। পাশাপাশি ব্যবসা পরিচালনার জটিলতা হ্রাস, রেস্তোরাঁ সমূহের ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধন এবং এই খাতের জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান তারা।

বুধবার (৩ জুলাই ) সকালে এফবিসিসিআই’র মতিঝিল কার্যালয়ে ফুড অ্যান্ড ফুড সেইফটি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এই আহ্বান জানান ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। কমিটির চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ইমরান হাসান সভাপতিত্বে সভায় ভার্চ্যুয়ালি প্রধান অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআই’র সভাপতি মাহবুবুল আলম।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তেব্যে মাহবুবুল আলম বলেন, সবার জন্য পুষ্টিকর এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণের কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশের মত বিপুল জনসংখ্যার দেশে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা কঠিন, তবুও আমাদের কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়ন করতে হবে। রেস্তোরাঁর পরিবেশ, নিরাপত্তা এবং খাদ্যের মান নিশ্চিতকরণে রেস্তোরাঁ শিল্পের জন্য দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মীবাহিনী গড়ে তুল হবে।

তিনি বলেন, দক্ষ জনশক্তি তৈরি করে শুধু বিদেশ পাঠালে চলবে না। নিজেদের দেশের জন্যও খাতভিত্তিক দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। এ সময়, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত এবং রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের সদস্যা দূরীকরণে এফবিসিসিআই’র সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বস্ত করেন মাহবুবুল আলম।

সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা, ভেজাল রোধ, অগ্নি নিরাপত্তা এবং রেস্তোরাঁ শিল্পের অন্যান্য সমস্যা চিহ্নিতকরণ এবং সমাধানের উপায় খুঁজে বের করতে এই খাতের উদ্যোক্তা ও অংশিজনদের স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের পরামর্শ দেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী।

সভার মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে কমিটির সদস্যরা বলেন, রেস্তোরাঁ শিল্পের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করা, লাইসেন্স প্রাপ্তি ও নবায়নের প্রক্রিয়া সহজীকরণ, ভেজাল বিরোধী আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা, অভিযান পরিচালনা এবং খাদ্যে ভেজাল নির্ধারণে গাইডলাইন ঠিক করা, ভেজাল নির্ণয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টেস্টিং সক্ষমতা বৃদ্ধি করার দাবি জানান।

অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও সহযোগিতার মানসিকতা তৈরি করা, অভিযানের নামে ব্যবসায়ীদের সামাজিকভাবে হেনস্তা বন্ধ করা, নিরাপদ খাদ্য ও রেস্তোরাঁ ব্যবসার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সকল অংশীজনকে নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে সেমিনার আয়োজন, রেস্তোরাঁ মালিকদের ত্রুটি সংশোধনের সুযোগ প্রদান, রেস্তোরাঁ শিল্পের জন্য আলাদা বিভাগ বা কর্তৃপক্ষ গঠন করাসহ বেশকিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেন তারা।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৬ ঘণ্টা,জুলাই ৪,২০২৪
জেডএ/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।