ঢাকা, শুক্রবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১৯ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

শরীয়তপুরে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১০ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২৪
শরীয়তপুরে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

শরীয়তপুর: শরীয়তপুর সদর উপজেলায় বিদেশে যাওয়ার প্রশিক্ষণ নিতে আসা এক নারীকে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় আব্দুল মান্নান খাঁ (৪২) নামে যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) রাতে পালং মডেল থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

এর আগে বিকেলে সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের চর সোনামূখী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আব্দুল মান্নান খাঁ রুদ্রকর ইউনিয়নের মৃত হানিফ খানের ছেলে। তিনি রুদ্রকর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারীর বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। তার স্বামী একজন ওমান প্রবাসী। তিনিও বিদেশ যাওয়ার জন্য শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের আমিন বাজার এলাকায় সরকারি ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হন। সেখানে তার সঙ্গে পরিচয় হয় ইদ্রিস গাজী নামের এক ব্যক্তির। পরে গত ২৫ জুন রাত ৯টার দিকে তিনি মাদারীপুর থেকে শরীয়তপুর ট্রেনিং সেন্টারের উদ্দেশ্যে আসছিলেন। পথিমধ্যে ওই নারীকে বহনকারী অটোরিকশাটি থামিয়ে তার মুখ বেঁধে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় রুদ্রকর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান খান, ইদ্রিস গাজী, কালাচান খাঁসহ অজ্ঞাতনামা আরও তিন থেকে চারজন ব্যক্তি। একপর্যায়ে ওই নারীর ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় তারা। পরে ওই নারী স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নেয়।

এই ঘটনায় গত ৩০ জুন মান্নান খান, ইদ্রিস গাজী, কালাচান খাঁসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জন ব্যক্তিকে আসামি করে আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন নাইনে একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী।

ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হওয়ার সুবাদে ইদ্রিস নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। আমি যখন ট্রেনিং সেন্টারে যাচ্ছিলাম ইদ্রিস গাজীসহ বেশ কয়েকজন আমার মুখ চেপে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় এবং স্পর্শকাতর ভিডিও করে রাখে। আমাকে তারা মারধরও করেছে। আমি লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারিনি। পরে তারা আমার স্পর্শকাতর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে মোবাইল ফোনে টাকা দাবি করেন। একপর্যায়ে আমি বাধ্য হয়ে ঘটনার ৫ দিন পর আদালতে মামলা করি। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

শরীয়তপুর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুহুন মাদবর বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এ ব্যাপারে তদন্ত করা হবে। তিনি যদি সংশ্লিষ্ট কাজের সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ওই যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১০০৯ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।