কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বউকে নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দ্বিতীয় স্বামীর মারধরে প্রথম স্বামী ও সাবেক ইউপি সদস্য আনারুল ইসলাম আনাকে (৫০) হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে রোববার রাত ১১টার দিকে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামে মারপিটের ঘটনা ঘটে।
নিহত আনারুল কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড বানিয়াপাড়া গ্রামের মৃত নওশের আলীর ছেলে। তিনি ওই ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ছিলেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, এক বছর আগে সাবেক ইউপি সদস্য আনারুল ইসলামের স্ত্রী পাপিয়া খাতুন তার পরকীয়া প্রেমিক একই গ্রামের শাহিনের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে তাকে বিয়ে করেন। আনারুলের সঙ্গে শাহীনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় আনারুলের বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করতেন শাহীন। এক পর্যায়ে আনারুলের স্ত্রী পাপিয়ার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন শাহীন। পরে পালিয়ে বিয়ে করেন তারা। সেই থেকে ইউপি সদস্যের সঙ্গে শাহীনের দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
এরই জেরে রোববার (১৪ জুলাই) রাত ১১টার দিকে বানিয়াপাড়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পাকা রাস্তার ওপর শাহিনের লোকজন পরিকল্পিতভাবে আনারুল ইসলামের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে শাহীন ও তার লোকজন আনারুলকে বেধরক মারপিট করে। পরে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দুপুরে তিনি মারা যান।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা বলেন, স্ত্রী নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শাহীন, শাহীনের চাচা মুক্তার হোসেন, মারুফ, মোস্তাকিন, তজিম উদ্দিন ও আবু বক্কর পরিকল্পিতভাবে আনারুলকে হত্যা করেছে। আমরা হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কয়রা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ওয়ার্ড সদস্য মারা গেছেন। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৪
এসএম